ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ বিজেপির
রাজ্য জুড়েই চলছে ভোট পরবর্তী হিংসা। শিলিগুড়ি হোক কিংবা নন্দীগ্রাম, হামলার ঘটনা কোথাও বাদ যাচ্ছে না। এমন কী শহর কলকাতাও না। এইসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনের বেশি কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই সব হামলায় বাদ যায়নি বিজেপির মহিলা নেত্রী-সদস্যরা। যাদবপুর কেন্দ্রে আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানকার প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর। তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে টাকা-গয়না লুট করার পাশাপাশি ইলেকট্রিক পাখাও খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
অর্থ সংগ্রহ অভিযান
আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে অর্থসংগ্রহ অভিযান শুরু করেছেন বোলপুরে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, ২০১৯-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়া একসময়ের মন্ত্রী কপিল মিশ্র। তবে রাজ্য বিজেপি সূত্রে দাবি, দল নয়, এই দুই নেতা তাঁদের উদ্যোগেই এই অর্থসংগ্রহ অভিযান শুরু করেছেন।
শুরুতেই ব্যাপক সাড়া
বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলি টুইটারে জানিয়েছেন তাঁদের লক্ষ্য ১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা। তবে খুব কম সময়েই তাঁরা ৪৫ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে ফেলেছেন। তবে এই টাকা কীভাবে দেওয়া হবে, তা অবশ্য জানা যায়নি। বিজেপির এই অর্থসংগ্রহ অভিযানের সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
৯৯ শতাংশ ভিডিও ভুয়ো
যদিও রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপরে হামলার খবর মানতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বিধানসভায় দেওয়া প্রথম ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বিজেপি হামলা সংক্রান্ত যেসব ভিডিও ছড়াচ্ছে তার ৯৯ শতাংশই ভুয়ো। তিনি দাবি করেছেন, মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, এটা মেনে না নিয়ে ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে বিজেপি। তিনি পুলিশকে এব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।