নয়াদিল্লিঃ দেশজুড়ে মারণ ভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। দিনে দিনে রেকর্ড হারে মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার করালগ্রাসে এসে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এমন সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের জরাজীর্ণ চিকিৎসা পরিষেবা। যা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে একাধিক মহল। এবার নড়েচড়ে বসল মোদী সরকার (Modi Govt)। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম হাতিয়ার টিকাকরণের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
দেশের একাধিক রাজ্য লাগাতার পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার মোদী সরকার কোনও প্রতিকূলতা ছাড়াই ভ্যাকসিন সরবরাহে আকাশ পথে ড্রোন ফ্লাইট ওড়ানোর জন্য শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল। আজ শনিবার, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক এবং মহাপরিচালক নাগরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক টিকা সরবরাহের জন্য তেলেঙ্গানা সরকারকে শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষামূলক ড্রোন ফ্লাইট ওড়ানোর অনুমতি দিল।
করোনার এহেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে মানুষদের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য এই উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিকূল অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে এটি বেশি করে কাজে লাগানো হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে তেলেঙ্গানা সরকার এই ড্রোন (Drone) ব্যবহারের জন্য ভিজুয়াল লাইন অফ দ্য সাইট রেঞ্জের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য শর্তসাপেক্ষে ছাড় পেয়েছিল। এবার এই অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক মডেলগুলি তৈরি করতে ড্রোন মোতায়েন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য অনুমোদিত বিউন্ড ভিজ্যুয়াল লাইনের দর্শনীয় স্থান (BVLOS) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সেখানে এই পরীক্ষামূলকভাবে আকাশ পথে ড্রোন ওড়ানোর প্রক্রিয়াটি চলতি মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞ মহলের মত এই পদক্ষেপটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন সরবরাহে এক অন্য মাত্রার গতি আসবে।
উল্লেখ্য, এর আগে আইআইটি কানপুরের সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) ড্রোন ব্যবহার করে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের একটি পরীক্ষামূলক অধ্যায়ন পরিচালনা করেছিল এবং সেক্ষেত্রেও শর্তসাপেক্ষ ছাড় পাওয়া গিয়েছিল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.