লখনউঃ দেশজুড়ে মারণ ভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। দিনে দিনে রেকর্ড হারে মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার করালগ্রাসে এসে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ৪ লাখের গণ্ডি। দেশজুড়ে শুধুই মৃত্যুর হাহাকার। শ্মশানে নীরবতার জো নেই। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) অবস্থাও বেগতিক। সেখান থেকেও একের পর এক উঠে আসছে মর্মান্তিক দৃশ্য।
উত্তরপ্রদেশে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ে লাগাতার মৃত্যু সংবাদ উঠে আসছে বিধায়কদের (MLA Dies)। সেখানে করোনা সুনামির (Corona Virus) প্রথম ঢেউয়ে থেকে এই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন বিধায়কের। আর গত বছরের তুলনায় এবছর করোনা আরও ভয়ানক রূপ ধারণ করায় সে রাজ্যে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP MLA) চার বিধায়কের। তাঁদের মধ্যে একইদিনে দুই বিধায়কের মৃত্যু সংবাদ শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছিল উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলে।
সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চার বিধায়কদের মধ্যে দু’জন বিধায়ক হলেন সুরেশ শ্রীবাস্তব ও রমেশ চন্দ্র দিবাকর একই দিন মারা গিয়েছিলেন। এছাড়াও ২৮ এপ্রিল বরেলির বিধায়ক কসর সিং গ্যাঙ্গওয়ার মারা গিয়েছিলেন এবং রায়বরেলির স্যালন বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়ক বাহাদুল করোনার গ্রাসে এসে মারা গিয়েছেন।
বিজেপি ছাড়াও, গত বছর থেকে করোনায় মারা যাওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কানপুর দেহতের ঘাটামপুরের বিধায়ক কমলা রানী বরুণ, আমরোহের সাদাতের বিধায়ক এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্য চেতন সিং। এ ছাড়াও মালহ্নীর পরশনাথ যাদব, দেওরিয়ার সদর বিধায়ক জনময় সিংও মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছেন।
এদেশে করোনার সূচনা পর্ব থেকেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর অহরহ মিলেছে। কিন্তু এভাবে লাগাতার বিধায়কদের মৃত্যু ঘটনা হয়ত বেনজির। উত্তরপ্রদেশে আরও যেসব নেতারা প্রাণঘাতী ভাইরাসের শিকার হয়েছেন তাঁরা হলেন আগ্রা সদরের প্রাক্তন বিধায়ক জগান, কানপুর দেহাত থেকে প্রাক্তন বিধায়ক মথুরা প্রসাদ পাল, লক্ষিমপুর খেড়ির প্রাক্তন বিধায়ক রাজকুমার ভার্মা নিঘাসন, নূরপুর বিজনোরের সাবেক বিধায়ক লোকেন্দ্র সিং এবং বুলন্দশহর সদরের সাবেক বিধায়ক বীরেন্দ্র সিং সিরোহিও করোনার ভাইরাসে মারা গেছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.