নয়াদিল্লি: বন্ধুবিচ্ছেদের কয়েকঘন্টার মধ্যে কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন ‘অর্জুন’ (Arjuna Award) এবং ‘দ্রোণাচার্য’ সম্মানে (Dronacharya Award) ভূষিত আরেক প্রাক্তন হকি তারকা এমকে কৌশিক (MK Kaushik)। জাতীয় দলের প্রাক্তন এই কোচ ছিলেন ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে (1980 Moscow Olympics) সোনাজয়ী দলের আরেক অন্যতম সদস্য। মৃত্যুকালে এমকে কৌশিকের বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। অর্থাৎ, একইদিনে দুই সতীর্থ দিকপালকে হারিয়ে যারপরনাই স্তব্ধ ভারতীয় হকি।

মস্কোয় সোনাজয়ী দলের সদস্য রবিন্দর পাল সিং শনিবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে। রবিন্দরের মতোই শেষবেলায় ভেন্টিলেশনে ছিলেন তাঁর একদা সতীর্থ কৌশিক। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১৭ এপ্রিল কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন প্রাক্তন হকি তারকা। এরপর থেকেই দিল্লির এক নার্সিংহোমে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলছিল তাঁর। শনিবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এমকে কৌশিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে হকি ইন্ডিয়ার (Indian Hockey Federation) প্রেসিডেন্ট জ্ঞানেন্দ্র নিংগোম্বাম (Gyanendro Ningombam) জানিয়েছেন, ‘আমরা গভীরভাবে শোকাহত। কৌশিকের পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। ভারতীয় হকিতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

জাতীয় পুরুষ এবং মহিলা উভয় দলকেই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এমকে কৌশিক। ১৯৯৮ ব্যাংককে ৩২ বছর বাদে এশিয়ান গেমসে (Asian Games) ভারত সোনা জিতেছিল এমকে কৌশিকের হাত ধরে। ২০০৬ দোহা এশিয়াডে (2006 Doha Asian Games) মহিলা দলের ব্রোঞ্জ জয়ের কান্ডারিও ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ ‘অর্জুন’ এবং চার বছর বাদে অর্থাৎ, ২০২০ ‘দ্রোণাচার্য’ সম্মানে সম্মানিত হন প্রাক্তন এই দিকপাল হকি প্লেয়ার।

মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালেই প্রয়াত হন রবিন্দর পাল সিং (Ravinder Pal Singh)। ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে (1980 Moscow Olympics) সোনাজয়ী দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনিও। লখনউয়ে দু’সপ্তাহ ধরে মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার পর শনিবার আত্মসমর্পণ করেন রবিন্দর পাল সিং। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। গত ২৪ এপ্রিল মারণ ভাইরাসে সংক্রামিত হলেও পরিবার সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁকে হাসপাতালের নন-কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়।

কিন্তু শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল সঠিক মাত্রায় ছিল না। ক্রমাগত অক্সিজেন সাপোর্টেই চলছিলেন তিনি। শুক্রবার অবস্থার অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। শনিবার সকালে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থাতেই প্রয়াত হন রবিন্দর পাল সিং।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.