লখনউ: ফের করোনার বলি হয়ে দেশের ক্রীড়াজগতের এক তারা খসে পড়ল শনিবার। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন ভারতের প্রাক্তন হকি প্লেয়ার রবিন্দর পাল সিং (Ravinder Pal Singh)। ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে (1980 Moscow Olympics) সোনাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। লখনউয়ে দু’সপ্তাহ ধরে মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার পর শনিবার আত্মসমর্পণ করলেন রবিন্দর পাল সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

গত ২৪ এপ্রিল মারণ ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল রবিন্দর পাল সিং’কে। তবে পরিবার সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁকে নন-কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল সঠিক মাত্রায় ছিল না। ক্রমাগত অক্সিজেন সাপোর্টেই চলছিলেন তিনি। পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে পরিবারের সদস্যরা এবং হকিজগতের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন হকি প্লেয়ারের জন্য ক্রমাগত অক্সিজেনের খোঁজ করে গিয়েছেন।

ভাইঝি প্রজ্ঞা যাদব জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় রবিন্দর পাল সিং যথেষ্ট হতাশ এবং উদ্বেগ ছিলেন। আর সেই কারণেই শুক্রবার কোভিড-মুক্ত হওয়ার পরেও তাঁর শারীরীক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সেখানেই শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকেও (1984 Los Angeles Olympics) ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন রবিন্দর পাল সিং। জোড়া অলিম্পিক ছাড়াও সেন্টার-হাফে খেলা এই প্রাক্তন হকি প্লেয়ার ১৯৮০, ১৯৮৩ করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন দেশের হয়ে। এছাড়া ১৯৮২ মুম্বই বিশ্বকাপ, ওই বছরেই করাচিতে এশিয়া কাপেও ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

অবিবাহিত এই প্রাক্তন হকি প্লেয়ার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একজন প্রাক্তন কর্মীও বটে। কিন্তু হকি স্টিক তুলে রাখার পর সেই চাকরি থেকেও স্বেচ্ছাবসর গ্রহণ করেছিলেন তারকা প্লেয়ার। জানা যায়, শারীরীক কোনও সমস্যার কারণে সময়ের আগেই হকি ছেড়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরণ রিজিজু (Kiren Rijiju)।

তিনি লেখেন, ‘শ্রী রবিন্দর পাল জি কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মেনেছেন শুনে শোকাহত। তাঁর মৃত্যুতে ভারত ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে সোনাজয়ী দলের এক সোনালি সদস্যকে হারাল। দেশের খেলাধুলায় তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে রয়ে যাবে।’ শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক ধনরাজ পিল্লাই (Dhanraj Pillay), এসভি সুনীলরাও (SV Sunil)।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.