কলকাতা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। প্রতিদিন সংকটজনক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগিয়ে চলেছে। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, বঙ্গে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৯,২১৬ জন,যার ফলে বঙ্গে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯,৫৮,২৮২। অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় এই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ১১২ জনে, যার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ১২,০৭৬ জন।
সদ্য পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। তৃতীয় বারের জন্য নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের ফলাফলের আগের দিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে নবান্ন তরফে বেশ কিছু পরিষেবা আংশিক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার অনেক পরিষেবা মূলত যে সমস্ত জায়গায় জমায়েত হয়ে থাকে সেগুলি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছিল। আর এর পরে মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি হাতে আনতে লোকাল ট্রেন বন্ধ এবং ব্যাঙ্ক সহ বেশকিছু পরিষেবা আংশিক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার কারণে স্টাফ সিলেকশন কমিশনও (এসএসসি) তাদের সিএইচএসএল এবং সিজিএল পরীক্ষা স্থগিত করেছে। এসএসসি সম্মিলিত উচ্চ মাধ্যমিক (১০ + ২) স্তর (সিএইচএসএল) (টিয়ার -১) এবং সম্মিলিত স্নাতক স্তর (টিয়ার -১) (সিজিএল) পরীক্ষা পরবর্তী আদেশ না মেলা পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দুটি পরীক্ষার জন্য পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছিল সেগুলিতে বাতিল করা হয়েছে।
স্টাফ সিলেকশন কমিশনের সিএইচএসএল পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়েছিল মে মাসের ২১ এবং ২২ তারিখে। অন্যদিকে সিজিএল পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়েছিল মে মাসের ২৯ তারিখ থেকে জুনের ৭ তারিখ পর্যন্ত। তবে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ার কারণে উভয় পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
সিএইচএসএল এবং সিজিএল পরীক্ষার পাশাপাশি কমিশন মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে চলা সিআরপিএস এর (জিডি) কনস্টেবেল, এনআইএ, এসএসএফ এবং রাইফেলম্যান (জিডি) -র আসাম রাইফেল পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
কমিশন শুক্রবার একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিচার করার পরে আগামী দিনে স্থগিত পরীক্ষার নতুন তারিখ এবং পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি সেই বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিত করা পরীক্ষার তারিখগুলো উল্লেখ করা হবে বলে আশাকরা করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.