স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের রেকর্ড গড়ল৷ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন। মৃত্যু হল ১২৭ জনের । এই নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ১২ হাজার ২০৩ জনের।

শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৬৪। উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। শনিবারও এখানে দৈনিক সংক্রমণ ৩৯৮২, মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এরপরই রয়েছে কলকাতা। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৬১। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তরের দুই জেলা – কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার।

আরও পড়ুন: ঈদের আগে সুখবর…খুলে গেল নিউ মার্কেট

এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৯৬২ জন, হুগলি ৯৪৭ জন, হাওড়া ১ হাজার ১৯৬ জন, পশ্চিম বর্ধমান ৯৪১ জন, পূর্ব বর্ধমান ৭৪৪ জন, পূর্ব মেদিনীপুর ৬৫৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর ৭৮৬ জন, ঝাড়গ্রাম ১০৮ জন, বাঁকুড়া ৪০৭ জন, পুরুলিয়া ২১৮ জন, বীরভূম ৭৮৫ জন, নদিয়া ৯৩২ জন, মুর্শিদাবাদ ৪৯০ জন, মালদহ ৫৯৭ জন, দক্ষিণ দিনাজপুর ২৫২ জন, উত্তর দিনাজপুর ৩৬৪ জন, জলপাইগুড়ি ২৭৮ জন, কালিম্পং ৪১ জন, দার্জিলিং ৫৩৫ জন, কোচবিহার ২২৯ জন, আলিপুরদুয়ার ২৭ জন গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল সাড়ে ৯ লক্ষ।

সংক্রমণ বৃদ্ধির মাঝে অবশ্য একটাই সুখবর। সুস্থতার হারও বাড়ল।  গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১৮,২৪৩। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৫.৮৯ শতাংশ, যা গত কয়েকদিনের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘন্টায় ৬৩,৩৭৭ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৮.৯৩ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ।

প্রসঙ্গত, এতদিন করোনায় মৃতদের দেহ হাতে পেতেন না পরিবারের মানুষ। তবে শনিবার করোনায় মৃতের দেহ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। শর্তসাপেক্ষে করোনায় মৃতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোভিড প্রোটোকল মেনে পরিবার করতে পারবেন অন্ত্যেষ্টি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.