কলকাতা : করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কায় দেশ বেসামাল। এর মধ্যে তৃতীয় ধাক্কা প্রবল শক্তি নিয়ে দেশের ওপর আঘাত হানতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছে। আংশিক লকডাউন চলছে আরও বেশ কিছু রাজ্যে। পরিস্থিতি রোজই খারাপের দিকে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৮২। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ২১৬ জন। করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ১১২ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৬ জন। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন।

করোনা দেশের কোন রাজ্যকে কতটা থমকে দিয়েছে এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক –

এই মুহূর্তে দেশের রাজধানী দিল্লিতে সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে ১৯ এপ্রিল থেকেই। সম্প্রতি দিল্লিতে লকডাউনের মেয়াদ ১০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

লকডাউন চলছে বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, কেরল এবং রাজস্থানও পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছে রাজস্থান সরকার। করোনা মোকাবিলায় ১০ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে রাজস্থানে।

এখানেই শেষ নয়, মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত রাজস্থানে কোনওরকম বিয়ের অনুষ্ঠানও করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজস্থান সরকারের তরফে ।

দ্বিতীয় দফাতেও কি তাহলে পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে দেশ? পরিসংখ্যান বলছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাতে সারা দেশে সম্পূর্ণ লকডাউনের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে । এই মুহূর্তে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষ পেরিয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর হারও ৪ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কার থেকে দ্বিতীয় ঢেউ যে অনেক বেশি শাক্তশালী , তা চিকিৎসকরা বলেছেন। বাস্তবে সেটা নজরেও পড়ছে। দেশের সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্রতা যে প্রথম ঢেউয়ের চাইতে অনেক বেশি, পরোক্ষে তা মেনেও নিয়েছে। এরই মধ্যে দেশে তৃতীয় ঢেউ আছ়়ড়ে পড়তে চলেছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় সতর্করের বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা । বিশেষজ্ঞরাও এই তৃতীয় ঢেউয়ের দেশে আঘাত হানার বিষয়ে শঙ্কিত । তাই চিকিৎসকরা সারা দেশে লকডাউন করার দাবি জানাচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণের ধারাবাহিক শৃঙ্খল দেশের বিপদ বাড়বে ছাড়া কমবে না। ততাই সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে এক মাত্র কার্যকর পথ হচ্ছে লকডাউন। দ্বিতীয় দফাতেও এই ভয়াবহতা দেখেও কেন্দ্র কেন সেই পথে হাঁটছে সেই প্রশ্নও তুলেছেন চিকিৎসকরা।তবে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র জানিয়েছেন, এখনই লকডাউনের পথে দেশ যাচ্ছে না। লকডাউন হচ্ছে শেষ রাস্তা । তবে তিনি লকডাউনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। তাই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে ভাবে লকডাউনে যাচ্ছে তাতে এই মুহূর্তে দেশ পূর্ণ লকডাউনের পথেই যে কার্যত যাচ্ছে সেটা বলা যায়। কেননা এই মুহূর্তে দেশের ১৩টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লকডাউন চলছে । বাকি অংশে লকডাউন না হলেও জারি রয়েছে আংশিক লকডাউন। তাই করোনার চোখ রাঙানি দেশকে এক চরম সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.