বাংলা-সহ ৭ রাজ্যে পজেটিভিটি রেট ৩০%-র বেশি, উদ্বেগে রাখা ৩০ টি জেলার ২ টি এই রাজ্যের, রিপোর্ট কেন্দ্রের

এই মুহূর্তে দেশের অন্তত ২৪ টি রাজ্যে করোনার (coronavirus) টেস্ট পজেটিভিটি রেট ১৫ শতাংশের ওপরে। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের অন্তত ৩০ টি জেলার সংক্রমণের মাত্রা অত্যাধিক বেশি। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) দুই জেলা। বিষয়টি উদ্বেগের বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

সাত রাজ্যে পজেটিভিটি রেট ৩০ শতাংশের বেশি

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অত্রি আহুজা জানিয়েছেন দেশের মধ্যে সাত রাজ্যে পজেটিভিটি রেট ৩০ শতাংশের বেশি। গত সপ্তাহের হিসেবের নিরিখেই এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গোয়া (৪৮.৫%), হরিয়ানা (৩৬.১%), পুদুচেরি (৩৪.৯%), বাংলা (৩৩.১%), কর্নাটক, দিল্লি, রাজস্থান ২৯.৯% করে।

১২ টি রাজ্যের প্রতিটিতে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি, আর সাতটিটে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ করে। দেশের মধ্যে কবল মাত্র ৫ টি রাজ্যে পজেটিভিটি রেট ৫ শতাংশ কম বলেও জানানো হয়েছে। ৯ টি রাজ্যের পজেটিভিটি রেট ৫ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে। আর ২৪ টি রাজ্যে পজেটিভিটি রেট ১৫ শতাংশের ওপরে।

১২ টি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই ক্রমবর্ধমান

দেশের যে ১২ টি রাজ্যে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, সেগুলি হল কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, উড়িশা, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, অসম, হিমাচলপ্রদেশ।

৩০ টি জেলায় প্রতি সপ্তাহেই সংক্রমণ বাড়ছে

দেশের যে ৩০ টি জেলায় সংক্রমণের সংখ্যা প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে সেগুলির মধ্যে ১০ টি হল কেরলের। সেগুলি হল, কোঝিকোড, এর্নাকুলাম, ত্রিসুর, মালাপ্পুরম, তিরুবনন্তপুরম, কোট্টায়াম, আলাপুজা, পালাক্কাড, কোল্লাম এবং কান্নুর। সাতটি জেলা অন্ধ্রপ্রদেশের- চিত্তোর, পূর্ব গোদাবরী, শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তনম, কুর্নুল, গুন্টুর, অনন্তপুর। কর্নাটকের তিনটি জেলার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু আর্বান, মাইশুরু, টুমকুরু। হরিয়ানার দুটি জেলা- গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, বাংলার-উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা, মহারাষ্ট্রের সাতারা, শোলাপুর। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে চেন্নাই, পটনা, খুরদা।

কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হলে তৃতীয় ঢেউ আটকানো যেতে পারে

দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী, এই কথা বলার দুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রের শীর্ষ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, যদি খুব শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচা যেতে পারে। তবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে, রাজ্যগুলি কীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তার ওপরে। যদি সরকারের গাইডলাইন অনুসরণ করা যায়, তাহলে উপসর্গহীন সংক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে।

সোনওয়াল না বিশ্বশর্মা, অসমের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে দিল্লিতে তৎপরতা