অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ শীর্ষ আদালতের, গড়া হল ১২ সদস্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স

অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় এবার হস্তক্ষেপ করল শীর্ষ আদালত। রাজ্যগুলির মধ্যে যাতে সুষ্ঠু ভাবে অক্সিজেন বণ্টন করা হয় তার জন্য ১২ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গড়ে দিল শীর্ষ আদালত। এই টাস্ক ফোর্সের কাজ হবে রাজ্যগুলির মধ্যে অক্সিজেনের বণ্টন সুষ্ঠু করা। এর আগে এই নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। অক্সিজেনের সঠিক বণ্টন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন।

মধ্য গগণে সেকেন্ড ওয়েভ

দেশের সেকেন্ড ওয়েভে ঢেউ ক্রমশ ভয়াল হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে মৃেতর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যাও ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একাধিক রাজ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন জারি করেছে।

অক্সিজেন বণ্টনে টাস্কফোর্স

ধেয়ে আসছে করোনার থার্ড ওয়েভ। তার আগে রাজ্যগুলিতে অক্সিজেন বণ্টনের কড়া নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে সেই অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। শেষে শীর্ষ আদালত নিজেই উদ্যোগী হয়ে ১২ সদস্যের বিশেষ টাস্ক ফোর্স গড়ে গিয়েছে। ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের কাজ হবে রাজ্যগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক করা। কোন রাজ্যে কত অক্সিজেন প্রয়োজন সেই অনুযায়ী সেই রাজ্যকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করবে এই টাস্ক ফোর্স।

কারা আছেন এই টাস্ক ফোর্সে

১২ সদস্যের এই টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ডাক্তার ভবতোষ বিশ্বাস। দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চেয়ারপার্সন ডাক্তার দেবেন্দ্র সিং রানা। রয়েছেন বিশিষ্ট হার্ট বিশেষজ্ঞ দেবী শেট্টি, তামিলনাড়ুর ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডাক্তার গুরদীপ কাং। ওই একই সংস্থার ডিরেক্রট ডাক্তার জেভি পিটার, মেদান্তর চেয়ারপার্সন ডাক্তার নরেশন ত্রেহান। এছাড়াও রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের স্বাস্থ্য সচিব সহ আরও বেশ কয়েক জন।

মোদীকে চিঠি মমতার

আগামী সাতদিন রাজ্যে করোনা সংকট ভয়াবহ হতে চলেছে আশঙ্কা করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গতকাল চিঠি লিখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি চিঠিতে রাজ্যের অক্সিজেন বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।