বিজেপির নির্বাচনে অংশ নেওয়াই উচিত হয়নি, কেন এ কথা বললেন অধীর চৌধুরী

স্বাধীনোত্তর পর্বে এই প্রথম কংগ্রেস শূন্য বিধানসভা তৈরি হয়েছে বাংলায়। একুশের বাংলায় শাসক তৃণমূল আর বিজেপি বিরোধী আসনে বসেছে। কংগ্রেসের একজন বিধায়কও নেই, নেই বাম বিধায়কও। এই অবস্থায় রাজ্যে বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসা বিজেপিকে এক হাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

বয়কটই যদি করবে বিজেপি নির্বাচনে অংশ নিল কেন?

বাংলায় বিরোধী আসনে বসেই বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির এই ভূমিকাই সমালোচিত হয়েছে এবার। বিজেপির এহেন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অধীর চৌধুরী বলেন, বিধানসভা যদি বয়কটই করবে, তাহলে বিজেপি নির্বাচনে অংশ নিল কেন? বিজেপির সিদ্ধান্ত মোটেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে জানান অধীর।

শুধু সরকার গড়তেই কি নির্বাচনে অংশ নেওয়া হয়, প্রশ্ন

শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপির এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সংকীর্ণ। বিধানসভা যদি তারা বয়কটই করবে, তবে কেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া? শুধু সরকার গড়তেই কি নির্বাচনে অংশ নেওয়া হয়? গণতন্ত্রে সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষ উভয়কেই থাকতে হয়। উভয়েরই বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

হাজিরই না হলে মানুষের কথা বলবেন কী করে!

অধীর চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে কোনও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না। আর বিজেপি সেইসব মানুষকে অপমান করছে, যাঁরা বিজেপি প্রার্থী দের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। তাই বিজেপির সরে আসা উচিত বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে। বিধানসভায় যদি তাঁরা হাজিরই না হন, তাহলে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলবেন কী করে!

পরাজয় মানতে না পারার মানসিকতা রয়েছে বিজেপির

অধীর বলেন, কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ভুললে চলবে না মানুষের কথা বলার জায়গা বিধানসভা আর লোকসভা। বিধানসভার মধ্যে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করা আর প্রতিবাদে বিধানসভা বয়কট করা এক জিনিস নয়। মানুষের রায়কে অমর্যাদা করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তে। বিজেপির এই সিদ্ধান্তের পিছনে পরাজয় মানতে না পারার মানসিকতা লুকিয়ে আছে।