বুন্দেশলিগায় আধিপত্য বায়ার্ন মিউনিখের, খেলতে নামার আগেই টানা নবমবার চ্যাম্পিয়ন

মনচেনগ্লাডবাকের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল বায়ার্ন মিউনিখ। এই নিয়ে টানা নবমবার বুন্দেশলিগা খেতাব জয়। আর বি লিপজিগ আজই বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ২-৩ গোলে পরাস্ত হতেই ফের বুন্দেশলিগা খেতাব নিশ্চিত হয়ে বায়ার্নের।

এবারের বুন্দেশলিগায় আগাগোড়া আধিপত্য বজায় রেখেই খেলেছে বায়ার্ন। কখনোই মনে হয়নি অন্য কোনও দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। খেতাব জয়ের লড়াই শেষ কয়েকটা ম্যাচে জমে উঠলেও বায়ার্নের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলার ক্ষমতা হয়নি কোনও প্রতিপক্ষেরই। ৩১টি ম্যাচে বায়ার্ন জিতেছে ২২টিতে, পরাজয় চারটিতে, ড্র হয়েছে তিনটি ম্যাচ। বায়ার্ন যেখানে জিতেছে ২২টি ম্যাচ, সেখানে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর বি লিপজিগের জয়ের সংখ্যা ১৯। ৩২টি ম্যাচের শেষে লিপজিগ দাঁড়িয়ে ৬৪ পয়েন্টে।

৩১ ম্যাচে ইতিমধ্যেই বায়ার্নের পয়েন্ট ৭১, বাকিদের ধরাছোঁয়ার একেবারে বাইরে। ফলে আজকের ম্যাচে খেতাব পকেটে পুরেই নামবে হ্যান্স ফ্লিকের দল। বায়ার্নের এবারের খেতাব জয়ে বড় অবদান রেখেছেন পোল্যান্ডের স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানদোস্কি। বায়ার্নের জার্সি গায়ে তিনি চলতি মরশুমে ৪৩টি গোল করেছেন, যার ৩৬টিই বুন্দেশলিগায় ২৬টি ম্যাচে।

তাঁর পরেই বায়ার্নের গোলদাতাদের তালিকায় রয়েছেন থমাস মুলার। ১০টি গোল করার পাশাপাশি ১৭টি অ্যাসিস্ট অর্থাৎ গোল করায় সহযোগিতা করেছেন তিনি। এছাড়াও সের্জে ন্যাবরি ৯টি ও জামাল মুসিয়ালা ৬টি গোল করেছেন। অ্যাসিস্টের তালিকায় মুলারের পরেই রয়েছেন জোসুয়া কিমিচ (১০), লেরয় সেন ও কিংসলে কোম্যান (৯)। তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে তিনকাঠির নীচে ম্যানুয়েল ন্যয়্যারের কার্যত অপ্রতিরোধ্য ভূমিকার কথাও।