কলকাতা: গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের মা বিগত দু’সপ্তাহ ধরে লড়াই চালাচ্ছেন কোভিডের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই হোম আইসোলেশনে থাকা অরিন্দমকে মালদ্বীপগামী এএফসি কাপের দলে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। এটিকে মোহনবাগানের চিন্তা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে এবার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে উইঙ্গার প্রবীর দাস, সঙ্গী শেখ সাহিল। অর্থাৎ, মালদ্বীপে উড়ে যাওয়ার দিনদু’য়েক আগে সবুজ-মেরুন আরও ভাঙাচোরা।
এএফসি কাপের জন্য দেশ ছাড়ার আগে দলের সকল ফুটবলারদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ছিল। আর সেই পরীক্ষাতেই ফল পজিটিভ আসায় দলের সঙ্গে এএফসি কাপ খেলতে যাওয়া হচ্ছে না প্রবীর এবং শেখ সাহিলের। ক্লাবের তরফ থেকে কোয়ান্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই ফুটবলারকে। ফলে কোভিড উদ্বেগে এএফসি কাপে দল গড়তে বাগানের সমস্যা আরও বাড়ল বৈকি। ফিজিতে লকডাউন থাকায় দলের প্রধান স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণা মালদ্বীপে পৌঁছতে পারবেন কীনা, এখনও নিশ্চিত নয়। তবে বিশেষ আবেদন করেছেন তিনি। বিমানে সঈমান্ত পারাপার বন্ধ থাকায় ডেভিড উইলিয়ামস এবং কার্ল ম্যাকহিউ সম্ভবত যোগ দিতে পারবেন না স্কোয়াডে।
একমাত্র বিদেশি হিসেবে কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস এবং কোচিং স্টাফেদের সঙ্গে মালদ্বীপে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ডিফেন্ডার তিরি। এএফসি’র মত সম্মানজনক টুর্নামেন্টের জন্য দল বাছতে হিমশিম বাগান কর্তারা প্রাথমিকভাবে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ফেডারেশন মারফৎ তারা অনুরোধ করেছিলেন এএফসি’কে। কিন্তু বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, কিংবা দেশেরই অন্য এক ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসি পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই মালদ্বীপ যাচ্ছে। তাই কোনওভাবেই বাগানের অনুরোধ বিবেচনা করতে রাজি ছিল না এএফসি। সূচি বদলানোর আবেদন করা হলেও তাও নাকচ হয়ে গিয়েছে।
সঙ্গে কোনওভাবে টুর্নামেন্টে অংশ না নিলে ঝুলছে নির্বাসনের খাঁড়া। অগত্যা ভাঙাচোরা দলই ভরসা এটিকে মোহনবাগানের। তার উপর কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই মালদ্বীপে যাচ্ছে দল। সেদেশে দিনকয়েক আগে পৌঁছনোর অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল বাগানের তরফ থেকে। তাও মেলেনি। ১০ মে সেদেশে পৌঁছে ১৪ মে প্রথম ম্যাচে নামতে হবে হাবাসের দলকে। মরশুমের শুরু থেকেই এএফসি কাপে ভালো ফল করতে প্রত্যয়ী ছিলেন দলের কোচ হাবাস। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসে সেটা কতোটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান সকলেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.