নিউ ইয়র্ক: ভারতে দেখা গিয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। এই স্ট্রেনকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ (Indian variant) বা ‘ভারত ভ্যারিয়েন্ট’ (India varient) শব্দদুটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিল সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (SAJA)।
একটি বিবৃতি জারি করে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে জানানো হয়েছিল কোনও রোগ, ভাইরাস বা ভ্যারিয়েন্টর নামের সঙ্গে কোনও দেশের নাম যুক্ত করা যাবে না। হতে পারে সেই দেশে প্রথম সেই রোগ, ভাইরাস বা ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তি। কিন্তু দেশের নাম এগুলোর আগে বা পরে যুক্ত করলে সেই দেশের মানুষের কাছে সেটি অপবাদ মনে হয়। SAJA এও বলেছে, বছরের পর বছর ধরে এই কিছু রোগের নাম মৈখিকভাবে বা সামাজিকভাবে বিশেষ কোনও সম্প্রদায় বা দলের উপর প্রভাব ফেলেছে। এর সাম্প্রতিকম উদাহরণ হল কোভিড-১৯। এটি প্রথম চিনের ইউহানে দেখা যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীরা সরাসরি একে ‘চিনা ভাইরাস’ বা ‘ইউহান ভাইরাস’ নামে অভিহিত করেন। এর ফলে এশিয় আমেরিকানদের প্রতি ঘৃণা বেড়ে গিয়েছে।
তাই করোনা ভাইরাসের ভারতে যে ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়েছে তার নাম উল্লেখের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সচেতন হওয়ার কথা বলেছে সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। এমনকী ভবিষ্যতে যদি করোনার কোনও ভ্যারিয়েন্ট আবিষ্কার হয় সেক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছে এই সংস্থা।
ভারতে আবিষ্কৃত Covid-19 এর ‘ডাবল মিউট্যান্ট’-এর নাম B.1.617। এই ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে ২টি নোটেবেল মিউট্য়ান্ট খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। দেশের পশ্চিমপ্রান্তে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রথম দেখা মেলে। এপ্রিল মাসের তথ্য বলছে দক্ষিণ ভারতে করোনার B.1.617 এবং B.1 স্ট্রেন দুটি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এটি মারাত্মক সংক্রামক। যুবক-যুবতীদের মধ্য়ে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭৮ জন। শুক্রবারের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম। শুক্রবার ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জনের। এই প্রথম দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজার টপকালো। শুক্রবার ৩ হাজার ৯১৫ জন করোনার বলি হয়েছিলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.