অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ শুভেন্দু-শিশির অধিকারীর
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেখানে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে কাঁথিতে অমিত শাহের সভায় বিজেপির মঞ্চে ছিলেন শিশির অধিকারী। কিন্তু তিনি বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেননি। আর ররিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দু সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
দিব্যেন্দু অধিকারীর অবস্থান নিয়ে জল্পনা
বিধানসভা নির্বাচনে অধিকারী পরিবারের সন্তান দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেননি। বিজেপির হয়ে প্রচারে অংশ নেন। ববং সমবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেছিলেন, তাঁকে তৃণমূলের তরফে প্রচারে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে তার বিরুদ্ধে বিজেপিকে সরাসরি সাহায্য করার অভিযোগ ও নাকি এখনও জোগার করে উঠতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে তাঁর অবস্থান ঠিক কোথায় তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বিজেপির সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগে বহিষ্কার ২ নেতা
নির্বাচনের পরে প্রথম বার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল। সেখানে খেজুরির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অভিযোগ এই দুই নেতাই বিজেপিতে যোগ না দিলেও নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করেছিলেন। মূলত দলবিরোধী কাজের অভিযোগেই তাঁদেরকে বহিষ্কার করা হয়।
সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, একাধিক নেতার বিরুদ্ধ ব্যবস্থাগ্রহণের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পরে দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে নিজের করণীয় কী তা নিয়ে একেবারেই চুপ। তবে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে।