স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ার অভিযোগে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের (Kangna Ranaut) বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করল তৃণমূল৷  ঋজু দত্ত নামে তৃণমূলের এক মুখপাত্র উল্টোডাঙা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন: দিল্লিকে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দিতে হবে, কেন্দ্রকে কড়া নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

ঋজু দত্ত বলেছেন, কঙ্গনার মতো একজন জনপ্রিয় তারকা যদি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ান, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন, তাহলে তার প্রভাব পড়বে জনমানসে। সেই কারণেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

আরও পড়ুন: হালে পানি মিলল না তামিল রাজনীতিতে! ভোটে হেরে কমল হাসানের দল ত্যাগ নেতৃত্বদের

বরাবরই লাগামছাড়া মন্তব্য করে বিতর্কের শীর্ষে থাকেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। নির্বাচনে বিজেপি-র হারের পর একাধিক টুইট ভেসে উঠেছিল কঙ্গনার দেওয়ালে। প্রত্যেকটি টুইট যে তাঁর পছন্দের দলকে সমর্থন করে লিখেছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট একটি টুইটে পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মীরের সঙ্গেও তুলনা করেন কঙ্গনা। তাঁর দাবি, যে সব জায়গায় বিজেপি জয়ী হয়েছে, সেখানে কোনও রকম হিংসামূলক কর্মকলাপ দেখা যায়নি। তবে বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই শুরু হয়েছে হত্যালীলা। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাবণের সঙ্গে তুলনা করেও টুইট করেন কঙ্গনা। লিখেছিলেন, ‘খলনায়ক হতে গেলে পরাক্রমী রাবণের মতো হন। ঠিক যেমন মমতা দিদি’। এরপরই সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় কঙ্গনা রানাউতের টুইটার অ্যাকাউন্ট। দিনের পর দিন টুইটারের নিয়মবিধি লঙ্ঘন করে পোস্ট করায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: সম্মতি নেই বিয়ের প্রস্তাবে, পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণীকে গুলি করে খুন

এদিকে, দুই প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার আনন্দ ভূষণ এবং রিমঝিম ডাদু জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর কোনও দিন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে কাজ করবেন না  তাঁরা। তাঁদের আগামী বেশ কিছু কাজ বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন তাঁরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.