আমাদের হিন্দু রীতিতে অনেকরকম বিশ্বাস ও আচার রয়েছে যা যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে চলেছে। মনে করা হয় সেগুলি না মানতে পারলে আমাদের জীবন ও সংসার দুর্বিসহ হতে বাধ্য।

সেখানে গৃহিণীদের জন্যেও রয়েছে কিছু সাংসারিক নিয়ম। প্রতিটি হিন্দু বাড়ির মহিলাই তা মেনে থাকেন সাধারণভাবে।

হিন্দু বাড়ির সেই সাধারণ নিয়মের মধ্যে থেকেই আপনি অতি পরিচিত তুলসী গাছ (basil-tree) দেখতে পাবেন সব সংসারে। হিন্দু রীতি অনুযায়ী তুলসীকে ঠাকুর নারায়ণের প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়।

মূলত ঠাকুর ঘরে বা বাড়ির উঠোনে এই গাছটির (basil-tree) স্থান হয়। মাটিতে বা টবে বা তুলসী মঞ্চে অতি যত্নে তুলসী গাছকে পুজো করা ও রক্ষা করা হয় শাস্ত্রের বিধি মেনে।

অনেকেই সকাল-সন্ধে দুইবেলা করে তুলসী গাছকে (basil-tree) পুজো করেন সংসারের মঙ্গলের স্বার্থে। তুলসী পাতাও পুজোর কাজে লাগে।

ধার্মিক কারণ ছাড়া বিজ্ঞানসম্মত ভাবেও তুলসী গাছ খুবই উপকারী। অক্সিজেন (oxygen) উৎপন্ন করার সঙ্গে আবার শীতকালে এর পাতা খাওয়া ভালো। সর্দি-কাশি থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়।

কিন্তু এই পুজোর পাশাপাশি বলা হয় যে এর সঙ্গে বিশেষ কিছু জিনিসকে রাখা যায় না। নইলে গাছ শুকিয়ে যায় আর সংসারে আসে অশান্তি।

১. তুলসী গাছকে যাঁরা শুভ বলে মনে করেন এবং পুজো করেন তারা তুলসী মঞ্চের আশেপাশে কখনও কোন আবর্জনা ফেলেন না। এতে নাকি সেই গাছের উপকারী গুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২. তুলসী গাছের কাছে চটি বা জুতো ভুল করেও খোলা উচিত না। এতে কেউ কেউ বলেন ওই গাছের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়।

৩. বালতি ভর্তি জল রাখাও নাকি ঠিক নয় তুলসী মঞ্চের আশেপাশে। এমন করলে নাকি গোটা পরিবারের উপর একটা অশুভ শক্তির ছায়া পড়ে।

৪. তুলসী মঞ্চ সন্ধেবেলা অন্ধকার রাখা উচিত নয়। আবার বিবাহিতরা ছাড়া নাকি অন্য কেউ গাছে হাত দিলে গাছ শুকিয়ে যেতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.