স্টাফ রিপোর্টার, কোচবিহার: সরকারি সাহায্য নিতে রাজি হল কোচবিহারের শীতলকুচিতে তৃণমূলের গুলিতে নিহত যুবক আনন্দ বর্মনের পরিবার। শুক্রবার নিহত কিশোরের মা ও দাদাকে পাশে বসিয়ে এমনটাই জানালেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থসারথি রায়। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতেও অনড় বর্মণ পরিবার।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, শীতলকুচিতে গুলিচালনায় নিহতদের পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ছাড়াও ১টি করে সরকারি চাকরি দেবে তারা। জানা যায়, আনন্দ বর্মণ-সহ পাঁচজনেরই পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে। কিন্তু পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, সরকারি সাহায্য তাঁরা নেবেন না।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় বিশেষ বেঞ্চ গঠন হাইকোর্টের
এরপরই শুক্রবার কোচবিহারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নিহত যুবক আনন্দ বর্মনের মা বাসন্তী বর্মন, দাদা গোবিন্দ বর্মন ও মামা জগদীশ রায়কে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন পার্থসারথিবাবু। সেখানে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি কথা রেখেছেন। আনন্দ বর্মনের পরিবার ন্যায়বিচার ও চাকরির দাবি করেছিল। সেই আবেদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাখবেন বলে আশা করি। এদিন, পার্থসারথি রায় আরও জানান, শনিবার শীতলকুচির জোড়পাটকিতে যাবেন তিনি। সেখানে আনন্দ বর্মনের শহিদ বেদী কোথায় তৈরি হবে৷
গত ১০ মার্চ ভোটগ্রহণ চলাকালীন শীতলকুচি কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথের সামনে তৃণমূলি দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মন নামে এক ১৮ বছর বয়সী যুবকের। প্রথমবার ভোট দিতে বুথে গিয়েছিলেন তিনি। ভোট দেওয়ার আগেই প্রাণ যায় তাঁর। এর পর ওই বুথে উত্তেজনা বাড়লে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে মৃত্যু হয় ৪ গ্রামবাসীর। এদিকে ক্ষমতায় ফিরেই কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবাশিস ধরের জায়গায় এসপি করা হয়েছে কে কান্নানকে।
এদিকে, শীতলকুচির ঘটনায় ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিট গঠন করে শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে ভবানী ভবনে তলব করা হয়। তলব করা হয় মাথাভাঙা থানার আইসি-কেও।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.