রোগী ভর্তিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বেহালা চৌরাস্তা রাজা রামমোহন রায় রোডে অবস্থিত অ্যাপেক্স নার্সিংহোমে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ওই নার্সিংহোম রোগী ভর্তির সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করে।
বৃহস্পতিবার রাতে রানিকুঠীর বাসিন্দা বছর ষাটের কেয়া রায়কে নার্সিংহোমে ভর্তি করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি করোনা আক্রান্ত, তাঁকে ভর্তি করাতে নিয়ে যান পরিবারের লোকজনরাই। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে বলা হয়, আমাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে, রোগীকে ভর্তি নেওয়া হোক। অভিযোগ, নার্সিংহোম পরিষ্কার জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এখানে গ্রহণযোগ্য নয়। রোগী ভর্তি করাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা করতে হবে।
কিন্তু রাতে অতো পরিমাণ টাকা রোগীর পরিবার জোগাড় করে উঠতে পারেনি। আজ সকালে রোগীর বাড়ির লোকজনেরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে জানান, তাঁদের পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তাই তাঁরা রোগীকে অন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চান। অভিযোগ, এটা শোনার পরও রোগীকে তো ছাড়া হয়ইনি, উল্টে রোগীকে আটকে রেখে বিল বাড়ানোর চেষ্টা করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদ করলে কেয়াদেবীর ছেলেকে নার্সিংহোমের কর্মীরা মেরে নাক ফাটিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ।
এর পরেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঘটনাস্থলে যায় বেহালা থানার পুলিশ। পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের হস্তক্ষেপের পরে অবশ্য রোগীকে ছেড়ে দেয় নার্সিংহোম।
বন্ধ লোকাল ট্রেন! বাসের সংখ্যাও কম, রাস্তায় বেরিয়ে দূরত্ব বিধি ভুলে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ