টোকিওর টিকিট সুমিতের
চতুর্থ পুরুষ কুস্তিগীর হিসেবে টোকিও অলিম্পিক্সের টিকিট আদায় করে নিলেন কুস্তিগীর সুমিত মালিক। সোফিয়ায় ওয়ার্ল্ড কোয়ালিফায়ারের ফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের বিষয়টি চূড়ান্চ হয়ে যায়। ১২৫ কেজি বিভাগে ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে অলিম্পিক্সের আসরে নামবেন তিনি। এই নিয়ে পুরুষ ও মহিলা নিয়ে মোট সাতজন ভারতীয় কুস্তিগীর টোকিও অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন।
ছবি- সাই মিডিয়া
রোয়ারদের দাপট
টোকিও অলিম্পিক্সের রোয়িংয়ে পুরুষদের লাইটওয়েট ডাবল স্কালস ইভেন্টে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন অর্জুন লাল জাট ও অরবিন্দ সিং। টোকিওতে শুক্রবার এশিয়া/ওশিয়ানিয়া কন্টিনেন্টাল কোয়ালিফাইং রেগাট্টায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার সঙ্গে সঙ্গেই টোকিও অলিম্পিক্সের টিকিট পেয়ে গেলেন তাঁরা। পুরুষদের সিঙ্গল স্কালসে জাকর খান চতুর্থ হন। তবে একটিই কোটা থাকায় তাঁর থেকে অর্জুন-অরবিন্দ ভালো ফল করায় জাকরের অলিম্পিক্সে যাওয়া হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতিতে ইতালিতে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের ইভেন্টেও কাউকে আর পাঠানো হবে না। ফলে রোয়িংয়ে অর্জুন-অরবিন্দরাই ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে নামবেন। সেইলিংয়ে অলিম্পিক্সে যাবেন ভারতের নেত্র কুমানন, বিষ্ণু সর্বানন, কে সি গণপতি ও বরুণ ঠক্কর। অলিম্পিক্সে তাঁরা ইউরোপে প্রশিক্ষণ নেবেন, এ জন্য ৭৩.১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক।
ছবি- সাই মিডিয়া
সাইনারা চিন্তায়
ব্যাডমিন্টনে টোকিও অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের জন্য সাইনা নেহওয়াল ও কিদাম্বি শ্রীকান্ত তাকিয়ে ছিলেন মালয়েশিয়ান ওপেন সুপার ৭৫০ টুর্নামেন্টের দিকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ল ভারতের দুই তারকা শাটলারের। পরে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলেও তা অলিম্পিক কোয়ালিফাইং উইন্ডোয় সম্ভব হবে না। এর আগে ইন্ডিয়া ওপেনও হয়নি। ফলে সাইনাদের সামনে অলিম্পিক্সে টিকিট পেতে দরকার ছিল দুটি ইভেন্ট। কুয়ালালুমপুরে মালয়েশিয়ান ওপেন হওয়ার কথা ছিল এ মাসের ২৫ থেকে ৩০ তারিখ অবধি। কিন্তু তা স্থগিত হতেই রইল পড়ে সিঙ্গাপুর ওপেন। জুনের ১ থেকে ৬ তারিখ অবধি চলবে সিঙ্গাপুর ওপেন। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে সিঙ্গাপুরের। অন্য কোনও দেশ হয়ে সাইনা ও শ্রীকান্তকে সিঙ্গাপুরে কীভাবে পাঠানো যায় সেই মরিয়া চেষ্টা শুরু হয়েছে।
ছবি- সাই মিডিয়া
হকিতে সোনার লক্ষ্যে
টোকিও অলিম্পিক্সেই হকিতে অলিম্পিক সোনার ৪১ বছরের দীর্ঘ খরা মেটাতে চাইছে ভারতীয় হকি দল। দলের মিডফিল্ডার রাজকুমার পাল জানিয়েছেন, হকিতে সোনা জয়ই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি চলছে। ১৯৮০ সালে অলিম্পক হকিতে শেষ সোনা জেতে ভারত, মস্কো গেমসে। গত বছরই প্রো হকি লিগে তাঁর অভিষেক হয় বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে। দলের খেলার পাশাপাশি নিজের খেলাতেও সন্তুষ্ট তিনি। পাল বলেন, প্রো হকি লিগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি গোল করতে পারা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। নিজের খেলায় সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই লক্ষ্য। গত মাসে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জয়েও অবদান রাখতে পেরে ভালো লেগেছে। দেশের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ না খেললেও অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের লক্ষ্যে অবদান রাখতে চাই।
ছবি- হকি ইন্ডিয়া