অক্সিজেনের অভাবে 'মৃত্যু' না 'গণহত্যা'?
সম্প্রতি রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনাগুলিকে 'গণহত্যা' বলে দাগিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এহেন উক্তির সময়ে সান হাসপাতালের নামোল্লেখও করেন বিচারকরা। অন্যদিকে বুধবার রাত ১১.৩০টায় এফআইআর করার পরেই সান হাসপাতালের এক কার্যকর্তা অখিলেশ পান্ডে জানান, "এই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা লিখিত অভিযোগ জানাব এলাহাবাদ হাইকোর্টে।" পাশাপাশি উপ-জেলাশাসকের বিরুদ্ধে চাপসৃষ্টির অভিযোগ এনেছেন অখিলেশ। এ প্রসঙ্গে ভিডিও-অডিও প্রমাণ থাকার কথাও জানিয়েছে সান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ!
'যথেষ্ট' অক্সিজেন থাকার পরেও অভাবের নোটিশ?
একদিকে যখন হাইকোর্টে আগাম জামিন ও সঠিক তদন্তের আবেদন করতে চলেছে সান হাসপাতাল, অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের বিবৃতি বলছে সম্পূর্ণ অন্য কথা। লখনৌ প্রশাসনের অভিযোগ অনুযায়ী, "লখনৌ জেলা প্রশাসনের নির্দেশের পরেও অক্সিজেন চাহিদাসম্পন্ন রোগীদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল। অক্সিজেন নিয়ে এহেন গুজব রটানো অপরাধ। এদিকে জানা গেছে যে হাসপাতালে আটটি জাম্বো সিলিন্ডার, দু'টি বি-টাইপ সিলিন্ডার ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে।" হাসপাতালে রয়েছে 'যথেষ্ট' অক্সিজেন, মত লখনৌ প্রশাসনের।
ভারতে টানা দশদিনে করোনায় মৃত্যু ৩৬,১১০ জনের, যা সর্বোচ্চ বিশ্বে
গুরুতর ধারায় অভিযোগ দায়ের হাসপাতালে বিরুদ্ধে
হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা যাতে অক্সিজেনের অভাবে মারা না যায়, তার ব্যবস্থা করতে গিয়েই এহেন নোটিশ দেওয়া হয়েছে, জানান অখিলেশ পান্ডে। "হাসপাতালে ব্যাক-আপ রাখতেই হয়। তাছাড়া কোনো রোগী যদি অন্যত্র ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে তো ভালোই', মত অখিলেশের। অন্যদিকে দুর্যোগ মোকাবিলা আইন, মহামারী আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ও ২৬৯ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অখিলেশের বিরুদ্ধে, জানান বিভূতি খণ্ডের এসএইচও চন্দ্র শেখর সিং।
'অক্সিজেন গুজব'-র বিষয়ে আরও কড়া আদালত
তরল অক্সিজেনের সরবরাহ ও বণ্টনব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুকে 'গণহত্যা' বলে উল্লেখ করে আগেই শোরগোল ফেলেছে আদালত। ইতিমধ্যেই মিরাট ও লখনৌয়ে অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়ে গুজব রটানোর অভিযোগ তুলে ধরে প্রশাসনকে তুলোধনা করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, অক্সিজেন সরবরাহ প্রসঙ্গে যোগী প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পরই এহেন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আদালত।