কলকাতা : শহর কলকাতার প্রাণকেন্দ্র কসবায় সরকারি নিয়ম ভেঙে হুক্কা বার খুলে রাখা হল। সেই হুক্কা বারে রাতভর নেশা করে বার হয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে এক ফুটপাথবাসীকে প্রাণে মারলেন এক নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। এই ঘটনায় সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। এ ছাড়াও গুরুতর আরও চারজন।
সরকারের নির্দেশ অমান্য করেও হুক্কা বার খুলে রাখার ফলে এই ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানার থেকে এক কিলোমিটার দূরে রাস্তার ওপর একটি হুক্ক বারে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে দুই যুবক ও হুক্কা বারের মালিককে। সারা রাত ওই হুক্কা বারেই ওই ছিলেন যুবকরা। হুক্কা বার থেকে বেরোনোর পর বচসা শুরু হয়। পুলিশ সেখানে গেলে গাড়ি নিয়ে যুবকরা পালাতে যায়। পালানোর সময় এক ফুটপাথবাসীকে পিষে দেয় ওই গাড়ি। কনস্টেবল উদয় বিশ্বাসকেও গাড়িটি ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় হাত ভাঙে কনস্টেবলের। তারপর আরও তিনটি গাড়িতে ধাক্কা মেরে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যায়। কোভিড আবহে, সরকারের নিষেধ অমান্য করে কেন খোলা ছিল এই হুক্কা বার? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে । চারটি গাড়িতে ধাক্কা মারার ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। পুলিশ গাড়ির চালক রাজদীপ সহ তাঁর কয়েকজন সঙ্গীকে আটক করেছে। পুলিশ হুক্কা বারটি বন্ধ করে দিয়েছে।
কসবা এলাকার এই হুক্কা বারটির বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদন ধরে অভিযোগ রয়েছে। এই হুক্কা বারটি সন্ধ্যায় খোলা হয়। সারা রাত এখানে চলে নানান বেল্লাপনা। রাস্তায় নেশাগ্রস্তরা নেমে এসে রোজ অশ্রাব্য গালাগাল করে। নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি চলে। এর ফলে স্থানীয় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কোনও এক অদৃশ্য শক্তির দ্বারা শক্তিমান হয়ে এই হুক্কা বারটি এভাবেই রমরমিয়ে চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন রজ্যে সমস্ত রকমের বার বন্ধের নির্দেশ দেন করোনার জন্য। তার পরেও এই হুক্কা বারটি খোলা ছিল। কসবা থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে এই হুক্কা বারটি রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য করেও কী ভাবে খোলা ছিল সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, “পুলিশ সব জেনেও এই হুক্কা বারটি চলতে দিচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে কেন এই হুক্কা বারের মালিক ও যারা সেখানে গিয়েছিল তাদের শাস্তি হবে না? এই প্রশ্নও তুলেছেন স্থানীয় মানুষরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুক্কা বারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এসে ঘটনাস্থলের নমুনা পরীক্ষা করে , ছবি তুলে ও নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে হুক্কা বারের মালিককে। তবে কেন সরকারের নিষেধ অমান্য করে হুক্কা বারটি খোলা ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই হুক্কা বারটির এক কর্মী জানান, “আমরা সরকারের ঘোষণা শোনার সময় আমাদের বারে প্রচুর লোক ছিলেন। তাদের বার হতে দেরি হয়ে গেছে। তা ছাড়া আমাদের বারের মধ্যে তো কিছু হয়নি। বাইরে হয়েছে।” তবে সরকারি নিষেধ অমান্য করে , করোনার মধ্যে কী ভাবে এই ঘটনা পুলিশের নাকের ডগায় ঘটল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.