বারাসত: প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছিল পশুপ্রেমী তারক আচার্যকে। তিনি তখন কুকুরদের খাওয়াচ্ছিলেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক জগদ্দলে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ভোট ও গণনা পরবর্তী সময়ে যে রাজনৈতিক হিংসাত্মক পরিবেশ চলছে তাতে এমনিতেই সন্ত্রস্ত এলাকাবাসী। এবার প্রকাশ্যে পশুপ্রেমীকে মারধর ও তাঁর মৃত্যুর জেরে আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আইপিএল ধারাভাষ্যে উপার্জিত অর্থ করোনা-খাতে দান করলেন লক্ষ্মী
জানা গিয়েছে, জগদ্দল থানা এলাকার ভাটপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের গেটের সামনে প্রতিদিনের মতো কুকুরদের খাবার দিচ্ছিলেন বছর-পঞ্চাশের তারক আচার্য। স্থানীয় কয়েকজন যুবক কুকুরগুলিকে মারে কেন এই নিয়ে তারকবাবু ক্ষোভ জানান। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, তারপরেই যুবকরা তারক আচার্যকে বেধড়ক মারধর করে।
আরও পড়ুন: তৈরি Samsung এর ফার্মওয়্যার, শীঘ্রই বাজারে আসছে আই স্মার্টফোনটি
মারধরে গুরুতর জখম হন পশুপ্রেমী তারক আচার্য। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে। ঘটনার জেরে হাসপাতাল চত্বর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে দেখে ক্ষোভ উগরে দেন। এভাবে প্রকাশ্যে পশুপ্রেমীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ধৃতদের খোঁজ চালাচ্ছে জগদ্দল থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাবধান! খোয়াতে পারেন সর্বস্ব, করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এই SMS থেকে দূরে থাকুন
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই পশুপ্রেমী তারকবাবু রাস্তার কুকুর বেড়ালদের খাবার দিতেন। তাঁকে কেন খুন করা হলো উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: বাংলায় একদিনে করোনায় বলি ১১৭, আক্রান্ত ১৮ হাজারেরও বেশি
প্রশাসনের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠছে। অভিযোগ, নির্বাচনের সময় ও ফল গণনার পর থেকেই জেলার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল রাজনৈতিক সংঘাতে রক্তাক্ত। বোমাবাজি, রাজনৈতিক খুন, প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। ফল বের হওয়ার পরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ আরও ছড়িয়েছে। ভাটপাড়া এলাকাতেই বোমাবাজি প্রায় নিত্য ঘটনা। এছাড়া জেলার অন্যত্র চলছে রাজনৈতিক হিংসা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.