ওয়াশিংটনঃ সেই সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দা! যেখানে চোখ রাখলে কতই না আজব-অদ্ভূত আর অজানা দৃশ্য চোখে পড়ে। যা দেখে নেট জনতারা কখনও মানবিকতার উজ্জ্বল নিদর্শন ভেবে নেই, কখনও চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে ওঠে, তো কখনও হেসে লুটোপুটি খায়। তাই তো সময় পেলেই বা কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণের জন্য তাঁরা ঘুরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। মুঠোবন্দী এই স্মার্টফোনই আজ মানুষের কাছে বিনোদনের অন্যতম উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা দেয় তাঁদের ক্ষণিক সময়ের জন্য স্বস্তিও। নেটিজেনরাও তাই মুঠোবন্দী ফোনে খুঁজে বেড়ায় সেই সব স্বস্তিদায়ক দৃশ্য।
তেমনই এক কাণ্ড এবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে নিখোঁজ থাকা এক মহিলার খোঁজে তল্লাশি চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে তাঁর খোঁজ মিললেও চক্ষু জোড়া চড়কগাছ হওয়ার উপক্রম পুলিশের। এখন হয়ত ভাবছেন, খুঁজে পাওয়ার খবরটি তো আনন্দের, তাহলে অবাক হওয়ার কি আছে! চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রকৃত ঘটনা।
উপত্যকায় ঘুরতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু সেখানে ঘিরতে গিয়ে যদি কেউ হারিয়ে যায়, তাহলে সেই ঘোরার জায়গাটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। এমনই কাণ্ড ঘটল যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ শহরে। সেখানে এক উপত্যকায় স্বপরিবারে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু আর ফিরে আসা হয়নি। সেই গহীন উপত্যকায় তিনি হারিয়ে যান। পরিবারের তরফে অনুমান করা হচ্ছিল তিনি আর বেঁচে নেই। কারণ সেই এলাকায় নেই কোনও গাছপালা। তবে দীর্ঘ ৬ মাস পরে অবশেষে জানা গেল তিনি বেঁচে আছেন।
মহিলাটি যে উপত্যকায় হারিয়েছিলেন সেখানে দিনের বেলা প্রখর রোদ আর রাতে প্রচন্ড ঠাণ্ডা। তিনি সেই উপত্যকার স্প্যানিশ ফার্ক ক্যানিয়ন অঞ্চলে হারিয়েছিলেন গত বছরের ২৫ নভেম্বরে। শেষে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাঁর গাড়িটি উদ্ধার করে। পুলিশের তরফে অনুমান করা হয়েছিল,মহিলাটি নিজের ইচ্ছায় সেই এলাকায় হারিয়েছিলেন। কিন্তু আদতে তা নয়। গত রবিবার সেই মহিলাকে পাওয়া গিয়েছে।
এমন বন্ধ্যা উপত্যকায় সে কীভাবে এতদিন কাঁটাল, তা এখন হয়ত আপনার মনে উদয় হবে। জানিয়ে দি, ওই উপত্যকায় ঘাস ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তাই ওই মহিলা শুধু ঘাস এবং দূরের একটি নদী থেকে জল খেয়ে নিজের সঙ্গে নিয়ে আসা একটি তাঁবুতে থাকতেন। যার ফলে মহিলাটির ওজনও ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
পুলিশ নিখোঁজ মহিলার তল্লাশিতে ড্রোন উড়িয়েছিল ওই এলাকায়। ঠিক তখনই প্রথমে মহিলার গাড়িটির এবং পরে ওই মহিলার খোঁজ পাওয়া যায়। এখন মহিলাটির শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.