জন্মদিনে করোনা যুদ্ধে সামিল লক্ষ্মী, আর্থিক অনুদান ঘোষণা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ক্রিকেটারের

নিজের ৪০তম জন্মদিনে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠিন যুদ্ধে এবার রাজ্যের পাশে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ক্রিকেটার। নাম লিখিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর, শিখর ধাওয়ান, শ্রীবৎস গোস্বামীদের দলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিতও হয়েছেন বাংলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।

করোনা পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুল্কা। তাঁর ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার রেশ কাটতে না কাটতে না কাটতেই করোনা যুদ্ধে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করে আরও একবার আলোকিত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন যে অতিমারীর জেরে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলে বাংলায় ধারাভাষ্য দিয়ে উপার্জন করা অর্থের সবটাই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে জমা করছেন। লক্ষ্মীর এই মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়েছেন বাংলার ক্রিকেট প্রেমীরা।

It is not important who you are, it is important who you are with in this time of need.#Covid19 #StayHomeStaySafe #helpindia #Dilse pic.twitter.com/W4qWYu47t9

— Laxmi Ratan Shukla (@Lshukla6) May 4, 2021

এর আগে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া দেশকে অনুদানের মাধ্যমে সাহায্য করেন সচিন তেন্ডুলকর, শিখর ধাওয়ান, অজিঙ্ক রাহানে, হার্দিক পান্ডিয়া, ক্রুণাল পান্ডিয়া, শ্রীবৎস গোস্বামী, জয়দেব উনাদকাট, শেলডন জ্যাকসনের মতো প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটাররা। সেই তালিকায় সামিল হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানের নামও। অন্যদিকে প্যাট কামিন্স, ব্রেট লি সহ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং সে দেশের ক্রিকেট মিডিয়াও দুঃসময়ে আর্থিক সাহায্য করে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন।

করোনার আবহে আইপিএল খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়দের অবশেষে মালদ্বীপ পাঠাল বিসিসিআই

ভারত তথা বাংলা তথা কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে লক্ষ্মীরতন শুক্লার অনুদানও উপরোক্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে ভোটে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছিলেন লক্ষ্মী। কিন্তু এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে নির্বাচনে লড়ার টিকিট পাননি বাংলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। নিজের ৪০তম জন্মদিনে সেসবে মাথা না ঘামিয়ে দেশবেসায় নিয়োজিত থাকাই যে তাঁর আদর্শ, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন শুক্লা।