স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা : সত্যজিৎ রায়ের ১০০ বছর পালন করবে ফিল্ম ডিভিশন অফ ইন্ডিয়া। অনলাইন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে সত্যজিৎ রায়কে সম্মান জানাবে তারা। ৭ থেকে ৯ মে পর্যন্ত দেখানো হবে তার বেশ কিছু কালজয়ী সিনেমা। তবে সত্যজিতের ছবি বলতে বাঙালির সামনে যে ছবি গুলি ভেসে ওঠে সেগুলি নয়। একটু অন্য ধারার ছবি, শর্টফিল্ম, ডকুমেন্টারি দেখানো হবে। দেখানো হবে তাঁকে ও তাঁর কাজ নিয়ে তৈরি কিছু ছবিও। ছবিগুলি দেখানো হবে ফিল্ম ডিভিশন অফ ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটে।

তালিকায় রয়েছে সদগতি, পিকু, টু, রে (সত্যজিৎ কে নিয়ে তৈরি গৌতম ঘোষের ডকুমেন্টারি ফিল্ম), সুকুমার রায়, বালা, দ্য ইনার আই, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্রিয়েটিভ আর্টিষ্টস অফ ইন্ডিয়া, সত্যজিৎ রায় (সত্যজিৎ কে নিয়ে তৈরি শ্যাম বেনেগালের ডকুমেন্টারি ফিল্ম), ফেলুদা – ফিফটি ইয়ার্স অফ রে ডিটেকটিভ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে প্রয়াত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হবে। সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুক্রবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, কিংবদন্তি লেখক চলচ্চিত্র নির্মাতার ১০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারত ও বিদেশে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই এই খবর খুশির হাওয়া এনে দিয়েছে বিনোদন মহলে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মিডিয়া ইউনিট – ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর, ফিল্ম বিভাগ, এনএফডিসি, এনএফএআই, এবং সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এসআরএফটিআই) একসঙ্গে একাধিক কার্যক্রমের পরিকল্পনা করেছে। মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনা করে, প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান হাইব্রিড মোড, ডিজিটাল এবং সরাসরি ভাবেও অনুষ্ঠিত হবে। সিনেমা জগতে সত্যজিৎ রায়ের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে ‘সত্যজিৎ রায় লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন সিনেমা’ পুরস্কার এই বছর থেকেই ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফআই) দেওয়া হবে। ফিল্ম ফেস্টিভাল অধিদপ্তর, ফিল্ম বিভাগ এবং বিদেশ মন্ত্রক ভারত এবং বিদেশে সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন চলচ্চিত্র এবং ডকুমেন্টারিগুলি দেখানোর পরিকল্পনা করেছে। এমনকি ৭৪তম কান ফিল্ম ফেস্টভ্যালে সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন ছবির একটি বিশেষ স্ক্রিনিং ও রেট্রোস্পেক্টিভ করা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। মুম্বাইয়ের ন্যাশেনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমাতে আলাদা করে সত্যজিৎ রায় বিভাগ তৈরি করা হবে।

সত্যজিৎ রায়ের মতন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক,লেখক,চিত্রকর, গ্রাফিক ডিজাইনার এবং সংগীত রচয়িতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে এ হেনো উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। মূলত বিজ্ঞাপন সংস্থা দিয়েই তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস পথের পাঁচালির শিশু সংস্করণের চিত্র তৈরি করতে গিয়ে তিনি প্রথম তা থেকে সিনেমা বানানোর অনুপ্রেরণা খুঁজে পান।এবং প্রথম ছবিতেই বাজিমাত।যা তাঁকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতির সঙ্গে লাইমলাইটে এনে দেয়।

আর তার পরচারুলতা,আগন্তুক,নায়কের মতন দুর্দান্ত সিনেমাগুলি তাঁরই সৃষ্টি। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানে ভুষিত করে। পরিচালনার সঙ্গে ফেলুদা,প্রফেসর শঙ্কুর মতন সর্বকালীন জনপ্রিয় চরিত্র তাঁরই সৃষ্টি। কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ভারত এবং বিদেশে বছরব্যাপী জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.