দেশজুড়ে করোনার তান্ডবে খানিকটা কুপোকাত সরকার থেকে চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষ সকলে। প্রতিদিনি লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ১ লক্ষ থেকে মাত্র কিছুদিনে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজারের ঘরে। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ফলে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিকাঠামো। কারণে ভাইরাসে খুব সংকটজনক রোগী ছাড়া বাকিরা বাড়িতে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে ঠিকঠাক ভাবে খাওয়া দাওয়া করলে লড়াই করা যাবে এই কঠিন ভাইরাসের সঙ্গে। তবে এর সঙ্গে চিকিৎসকেরা এই সময়ে আক্রান্ত রোগীর তালিকা থেকে বেশকিছু খাবার দূরে রাখার কথা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন করোনা হলে রোগীদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই কারণে বেশ কিছু মাস থেকে যায় ক্লান্তি ভাব। এই ক্লান্তি ভাব দূর করার জন্য তালিকায় শাক-সজবি সঙ্গে আরও একাধিক পুষ্টিকর খাবার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এর পাশাপাশি মনে রাখাতে হবে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর বেশকিছু খাবার একেবারে খাওয়ানো উচিত নয়। তার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ওই সমস্ত খাবার খাওয়ানোর ফলে সুস্থ হবার থেকে উল্টে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে রোগী।
আরও পড়ুন: ইমিউনিটি, পেটের সমস্যা, মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি এই ভেষজ উপাদানে
করোনার বড়ো উপসর্গ হচ্ছে স্বাদ কিংবা গন্ধ না মেলা। করোনার কারণে হটাৎ করে স্বাদ চলে যাওয়ার ফলে অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেতে সমস্যা হতে পারে সংক্রমিত ব্যক্তির। অতিরিক্ত তেল-মশলা খাওয়ার ফলে গলা জ্বালা করার পাশাপাশি কাশি দেখা দিতে পারে। আর সেই কারণে বাড়িতে থাকা সংক্রমিত রোগীদের লঙ্কা, গোল মরিচের মতো ঝাল ব্যবহার না করে সেদ্ধ খাবার দেওয়া উচিত এই সময়ে।
করোনা ভাইরাসে উপসর্গ হিসেবে অনেকের মধ্যে পেটের সমস্যা দেখা মিলছে। তায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর কখনও তেলে ভাজা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। শুধু অসুস্থ নয় সুস্থ মানুষেরও তেলে ভাজা খাবারগুলি হজম হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। অন্যদিকে সংক্রমিত রোগীদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে, ফলে সংক্রমিত ব্যক্তির পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে তেলে ভাজা খেলে।
সাধারণ ফ্লু হোক কিংবা করোনা ভাইরাস উপসর্গ সেই কাশি-সর্দি এবং জ্বর। সেই কারণে এই সময়ে ঠান্ডা জাতীয় সমস্ত খাবার দূরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অনেকে গরমের কারণে ঠান্ডা জল খেয়ে থাকে। এই অভ্যাসও বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধ করার কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.