ঢাকা: অসমাপ্ত আইপিএলের বৃত্ত ছেড়ে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান। রাজস্থান রয়্যালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার একটি প্রাইভেট বিমানে বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটারের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে।

দেশে পৌঁছে প্রাইভেট বিমানেই দুই ক্রিকেটার একসঙ্গে সেলফি তোলেন এবং তা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন রয়্যালসের ফাস্ট বোলার। কোভিড আতঙ্কে আইপিএল মাঝপথে স্থগিত হয়ে গেলেও বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে দেখে মনে হয়নি তারা আতঙ্কে রয়েছেন। বরং প্রাইভেট বিমানে বেশ হাসিখুশি মেজাজেই ধরা দেন সস্ত্রীক মুস্তাফিজুর এবং শাকিব। টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করে বাংলাদেশ পেসার লেখেন, ‘আলহামদুলইল্লাহ, আমরা কোনও বিপদ ছাড়া নিরাপদেই বাংলাদেশে ফিরেছি। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই রাজস্থান রয়্যালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সবটা সম্ভব করার জন্য।’

দেশে ফিরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মুস্তাফিজুর। উল্লেখ্য, ২০২১ মরশুমে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয়েছে মুস্তাফিজুরের। দলকে ভালোই ভরসা জোগাচ্ছিলেন বাংলাদেশ পেসার। স্থগিত হওয়ার আগে ৭ ম্যাচের মধ্যে তিনটি জয় নিয়ে প্রথম পর্বের শেষে লিগ টেবিলে পাঁচে ছিল মুস্তাফিজুরের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। অন্যদিকে ২০১৭ পর ফের নাইট শিবিরে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল শাকিবের। যদিও সেই প্রত্যাবর্তন খুব একটা সুখের হয়নি তারকা অল-রাউন্ডারের। তাঁর দলও খুব একটা ছন্দে ছিল না টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার আগে অবধি।

উল্লেখ্য, জৈব বলয় ভেদ করে নাইট শিবিরেই প্রথম হানা দিয়েছিল করোনা। আক্রান্ত হয়েছিলেন শাকিবের দুই সতীর্থ বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়র। এরপর একে একে চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স শিবিরও মারণ ভাইরাসের প্রকোপে পড়ায় গত মঙ্গলবার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে স্থগিতাদেশ নেমে আসে। আগামী অক্টোবরে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে কোনও উইন্ডোতে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ শেষ করতে চায় বিসিসিআই। তবে সেটা সম্ভব হলেও ভারতের মাটিতে হবে না। আমিরশাহিকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ভেবে রাখা হলেও ইংল্যান্ডের একাধিক কাউন্টি ক্লাব আগ্রহী হয়েছে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.