স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের রেকর্ড গড়ল৷ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১৮ হাজার ৪৩১ জন। মৃত্যু হল ১১৭ জনের । এই নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ১১ হাজার ৯৬৪ জনের।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা৷ এই জেলায় এদিন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯২২৷ এরপরই রয়েছে কলকাতা৷ এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৮৮৭। এরপর রয়েছে হাওড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, দার্জিলিং, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া। এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। কলকাতায় ৩৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০ জন, হুগলিতে ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও মৃত্যু হয়েছে৷

আরও পড়ুন: সমস্ত হাসপাতালকে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানোর অনুমতি রাজ্যের

সংক্রমণ বৃদ্ধির মাঝে অবশ্য একটাই সুখবর। সুস্থতার হারও বাড়ল। এনিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮ লক্ষ ৩২৮ জন। এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগী ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৭৪ জন। স্বাস্থ্য় দফতরের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, সুস্থ হয়ে একদিনে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ হাজার ৪১২ জন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৬০ হাজার ১০৫ জনের। তার মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ১৮ হাজার ৪৩১ জনের। এর ফলে সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ৩০.১২ শতাংশে। বুধবার রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছে ৯০ হাজার ৩৫ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে মোট ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩৭১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় সাংবাদিক বৈঠক ছিল নবান্নে। সেখানে মমতা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে ৪০ শতাংশ বেড বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’  তিনি বলেন, ‘‘শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, সমস্ত হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমেই করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যা শয্যা বরাদ্দ করতে হবে।’’ সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্ল্যান্ট তৈরির কাজের সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। তারাই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে। লালফিতের ফাঁস কমিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.