ভোট পরবর্তী হিংসা, কেন্দ্রের পাঠানো দ্বিতীয় চিঠির পরে এবার রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধিদল

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার পর্যালোচনা করতে রাজ্যে আসছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) এক প্রতিনিধিদল। এই দলে অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে চার আধিকারিক থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিনই তারা রাজ্যে আসবেন এবং রাজ্য সরকারের (west bengal) আধিকারিকদের (officers) সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য কেন্দ্রের এই দল পাঠানোকে কটাক্ষ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বিতীয় চিঠি

রবিবার গণনার দিন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিবেসে শপথ নেওয়ার পরেই। চিঠিতে প্রশ্ন করা হয়েছে, রবিবারের পর থেকে হিংসার ঘটনা বন্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি কেন?

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা তাঁর দ্বিতীয় চিঠিতে বলেছেন, প্রথম চিঠি দেওয়ার পরেই কেন্দ্রের কাছে কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। সেই কথাই তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

মুখ্যসচিবের কাছে প্রশ্ন

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা পশ্চিমবঙ্গের মউখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন করেছেন, কেন এখনও পর্যন্ত হিংসা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব বলেছেন, নতুন পাওয়া রিপোর্ট থেকেই পরিষ্কার রাজ্যে এখনও ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধ হয়নি। হিংসা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সেই রিপোর্টও কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর এদিনই রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিকের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাঁরা রাজ্যে এসে সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করবেন।

ঘটনার তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও

এদিকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যে এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিনিধি দলই। কমিশন তাদের ডিআইজি পর্যায়ের দলকে বিষয়টি সম্পর্কে দেখতে বলেছে। যে,ব জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেইসব জায়গায় গিয়ে তদন্তের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে দু-সপ্তাহের মধ্যে। এছাড়াও ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

তৃণমূলের কটাক্ষ

বিজেপি ছাড়াও বাম-কংগ্রেসের তরফে হিংসার ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, একটা সময় দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুরা তাদের দলের সমর্থকদের উসকে ছিলেন। তারই জনরোষে এইসব ঘটনা ঘটছে। তাঁর দাবি তৃণমূল এইসব হামলার পিছনে নেই। লড়াই হচ্ছে আদি বিজেপি বনাম নব্য বিজেপির মধ্যে।

দ্বিতীয় দফায় করোনা ঢেউয়ে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত-মৃত্যুতে ফের রেকর্ড, সংক্রমণে অষ্টমস্থানে পশ্চিমবঙ্গ