কোন চাবি-কাঠির বলে গেরুয়া শিবির পরাস্ত বাংলা, তামিলনাড়ুতে! ভোট পরবর্তী সমীক্ষায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গোটা দেশে যখন গেরুয়া ঝড় বইছে তখন সেই ঝড় কেটে বেরিয়ে এল িতন রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং তামিলনাড়ু। কেরলে বিজেপির দাঁত ফোটানোর ক্ষমতা প্রথম থেকেই খু্ব একটা ছিল না। কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো ফল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ও তামিলনাড়ুেত। দুই অবিজেপি দলের কাছে বিজেপি যাকে বলে ধরাশায়ী। কোন জাদুবলে এই অসাধ্য সাধন হয়েছে এই নিয়ে জোর সমীক্ষা শুরু হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

বাংলার ভোটে বিজেপিকে বড় ইস্যুতে গোল দিয়ে 'খেলা' জিতে নিয়েছে তৃণমূল! নির্বাচন পরবর্তী সমীক্ষায় বড় বার্তা

তামিলনাড়ুতে ডিএমকের জয়

তামিলনাড়ুতে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে স্টালিনের নেতৃত্বে ডিএমকে। এই বিপুল ভোটের জয় ডিএমকের জয় কীভাবে সম্ভব এই নিয়ে ভোট পরর্তী সমীক্ষা চালিয়েছিল একটি সংস্থা। তাতে দেখা গিয়েছে। এডিএমকে এবার একেবারে দিশাহীন অবস্থায় ছিল। একাধিক নেতা নিজেদের মধ্যে দলাদলীতে জড়িয়ে পড়েছিল। জয়ললিতার মৃত্যুর পর কোনও একজন মুখ ছিল না। তার উপর বিজেপিও তেমন কায়দা করে উঠতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চরম ব্যর্থ ছিল এডিএমকে। সেদিক থেকে ডিএমকের স্টালিনকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে মানুষের। করুণানিধির পর দলের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন স্টালিন। আর সেই আস্থায় ভর করেই মানুষের ভরসা এবং বিশ্বাস জয় করতে পেরেছে ডিএমকে। সেখানে বাইরে থেকে নেতাদের নিয়ে এসে প্রচারে দাঁড়করিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি বিজেপি।

বাংলায় তৃণমূলের জয়

২০১৯-র লোকসভা ভোটের পর থেকেই বাংলার বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করেছিল বিজেপি।দফায় দফায় সংগঠন সাজানো থেকে শুরু করে বুথে বুথে সমীক্ষা চালিয়ে ভোটের অঙ্ক কষা কোনও কিছুর খামতি রাখেনি তাঁরা। ভোট ঘোষণার পর থেকে মোদী অমিত শাহরা কার্যত ডেলিপ্যাসেঞ্জাির শুরু করে নিয়েছিলেন বাংলায়। কোনও কিছুই বাদ রাখেননি। রাজ্যের অলিতে গলিতে ঘুরে বেরিয়েছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। কিন্তু কিছুতেই মানুেষর ভরসা জয় করতে পারেননি তাঁরা। জনসভা রোড শো-তে ভিড় টানলেও মানুষের মনে দাগ কাটতে পারেননি মোদী শাহরা। সেজায়গায় অনেক বেশি কাছের ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মাটির মানুষের মন বুঝে প্রতিটি পদক্ষেপ করেছে তিনি। আর তাতেই এসেছে বিপুল জয়। মানুষের ভরসা জয় করতে পেরেছেন মমতা।

জয়ের মূলমন্ত্র কী

বাংলা,তামিলনাড়ুতে অবিজেপি দুই শক্তির এই বিপুল জয়ের মূল মন্ত্রই ছিল আম জনতার ভরসা , আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। যেটা বিজেপি কিছুতেই করে উঠতে পারেনি। তাই সর্বভারতীয় সর্ববৃহৎ দল হলেও বাংলা,কেরল ও তামিলনাড়ুর মানুষের কাছে স্থানীয় রাজনৈতিক দলই বেিশ বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে। সেকারণেই মানুষ স্থানীয় রাজনৈতিক দলকে আপন করে নিয়েছে।

বামেদের উপরেই ভরসা

কেরলে বামেদের উপরেই ভরসা রেখেছেন মানুষ। বন্যা থেকে করেনা নিয়ন্ত্রণ দুই ক্ষেত্রেই যেভাবে পিনারাই বিজয়ন কাজ করেছেন রাজ্যের মানুষের জন্য তাতে বিেজপির উপর ভরসা রাখতে পারেনি সেই রাজ্যের মানুষ। বিজেপি স্থানীয় মানুষের মন জয় করতে পারেনি। বিজেপি এই তিন জেলাতেই বিজেপি মানুষের ভরসা অর্জন করতে পারেনি। এর থেকেই স্পষ্ট ভোটে জয়ের মূল চাবিকাঠি মানুষের আস্থা।