নয়াদিল্লি: প্রাক্তন ভারতীয় অল-রাউন্ডার ইরফান পাঠান ও তাঁর দাদা ইউসুফ পাঠানের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি দক্ষিণ দিল্লির কোভিড আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াল৷ নিভৃতবাসে থাকা করোনা আক্রান্তের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করতে চলেছে৷ বুধবার ইরফান পাঠান টুইট করে বিষয়টি জানান৷ গত মার্চে পাঠান ভ্রাতৃদ্বয়ও রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে অংশগ্রহণ করার পর কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন৷

কোভিডের এই দ্বিতীয় ওয়েভে দিল্লিতে খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ রোজ প্রায় হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না, ওষুধ-অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব দেখা যাচ্ছে সর্বত্র৷ এই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই পাঠান ভ্রাতৃদ্বয় দক্ষিণ দিল্লির কোভিড আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

ইরফান টুইটে লেখেন, “যখন গোটা দেশ কোভিডের এই দ্বিতীয় ওয়েভের সন্মুখীন হয়েছে, তখন প্রয়োজনে থাকা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের সবার দায়িত্ব। সেই কারণে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি অফ পাঠান’স(CAP) দক্ষিণ দিল্লির কোভিডাক্রান্ত মানুষদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করবে।” সংশ্লিষ্ট টুইটের সঙ্গে থাকা ছবিতে তিনি কোন সময় থেকে কোন সময়ের মধ্যে কোন নম্বরে ফোন করতে হবে আগে থেকে অর্ডার করার জন্য তাও কিন্তু উল্লেখ করে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩৬ বছর বয়সি প্রাক্তন ভারতীয় এই অল-রাউন্ডার ও তাঁর দাদা ইউসুফ গত মার্চ মাসে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবং সেই সিরিজে অংশগ্রহণ করার পরেই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার কিন্তু কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। পাঠান পরিবার এর আগেও কোভিডের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

গত বছরও গোটা দেশ যখন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছিল, তখনও কিন্তু ইরফান ও ইউসুফ সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন৷ তাঁরা ৪০০০ মাস্ক বিতরণ করেছিলেন৷ এছাড়াও এই বছরের শুরুর দিকে তাঁদের পিতা মেহমুদ খানও কোভিডের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন৷ তিনিও তাঁর সেবা প্রতিষ্ঠানের (Charitable Trust) দ্বারা কোভিড আক্রান্ত মানুষদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করেছিলেন৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.