অবশেষে ভারতের টেলিকম দফতর ফাইভ-জি ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে টেলিকম অপারেটরগুলিকে। ৭০০ মেগাহার্জ ট্রায়াল পরিচালনা করতে পারবে টেলিকম সংস্থাগুলি। ডটের অনুমোদনের তালিকায় রয়েছে এয়ারটেল, রিলাইন্স জিও, ভিআই (ভোডাফোন-আইডিয়া) এবং বিএসএনএল সহ তেরোটি সংস্থা।

ভারতের টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, শহর এবং গ্রামাঞ্চলে ট্রায়াল পরিচালনার সময় নেটওয়ার্কের সুরক্ষা এবং যত্ন নিতে হবে অপারেটর সংস্থাগুলিকে। এর পাশাপাশি মন্ত্রক আরও উল্লেখ করে জানিয়েছেন, টেলিকম সংস্থাগুলো ৭০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড শুধুমাত্র ট্রায়ালের জন্য ব্যবহার করতে পারবে, বাণিজ্যিক নিয়োগের জন্য মিলবে না।

ইটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিএসএনএল ফাইভ-জি ট্রায়ালের জন্য সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট অফ টেলিমেট্রি সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং ভারতীয় এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং রিলায়েন্স জিও সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফাইভ-জি ট্রায়ালের জন্য যুক্ত হয়েছে এরিকসন এবং নোকিয়ার সঙ্গে।

টেলিযোগাযোগ দফতর আগামী দিনে ফাইভ-জি ট্রায়ালের জন্য সমস্ত টেলিকম অপারেটরগুলিকে অফিসে নামের তালিকা জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, রিলায়েন্স জিও সংস্থা স্যামসাং, নোকিয়া এবং এরিকসনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের অন্য দুই টেলিকম সংস্থা এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার মতো টেলিকম সংস্থা অংশীদারিত্ব করছে নোকিয়া, এরিকসন এবং মার্কিন ভিত্তিক মাভেনিরের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে।

ডিপার্টমেন্ট অব টেকনোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী ডটের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে হুয়ান এবং জেটিই টেলিকম অপারেটরগুলিকে। এর মানে অন্যান্য ১৩ টি টেলিকম অপারেটর সঙ্গে ভারতে কাজ করতে পারছে না এই দুই টেলিকম সংস্থা। এছাড়া রিলায়েন্স জিও মেসিভ মিমো এবং ৫ জি ছোট কোষ সরঞ্জামের ওপর কাজ করার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি মুকেশ আম্বানির সংস্থা আত্মনির্ভর ভারত কে সামনে রেখে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক বিকাশ করতে মরিয়া, যেখানে অন্যদিকে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর এয়ারটেল হায়দ্রাবাদে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর পরীক্ষা করার কথা ঘোষণা করেছে।

বর্তমান সময়ে প্রায় সমস্ত ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইভ-জি স্মার্টফোন বাজারে প্রকাশ করতে শুরু করেছে। ২০,০০০ টাকার নিচে রাখা হচ্ছে স্মার্টফোনগুলিকে। তবে ৫ জি পরিষেবা চালু না হওয়ায় গ্রাহকদের উপভোগ করতে হচ্ছে ৪ জি নেটওয়ার্কটি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.