কলকাতা : রাজ্যে নির্বাচন ও তার পরবর্তী সংঘর্ষে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে রাজ্য সরকার অনুদান দেবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা জানান। তিনি বলেন, ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যে ১৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১ জন সংযুক্ত মোর্চার কর্মী আছে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, “রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে ৩ মে পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১ জন সংযুক্ত মোর্চার লোক আছেন। এছাড়া তৃণমূল ও বিজেপি-র সমান সমান মানুষ রয়েছেন যারা মারা গেছেন। রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের জারি করা আদর্শন আচরণ বিধি যখন চলছিল তখন এসব ঘটনা ঘটেছে। আমরা মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেব। এছাড়া শীতলকুচিতে যে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের থেকে একজন করে মানুষকে আমরা চাকরি দিচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই অনুদানের কথা ঘোষণা করছেন সেই দিন দিনহাটায় বিজেপি-র হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ। তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন বিধায়কের গাড়ির চালকের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এদিকে কোচবিহারের বিজেপি নেত্রী মালতী রাভা বলেন, “এটা তৃণমূলের ভেতরকার গোলমাল। তারাই উদয়ন গুহর নিরাপত্তা কর্মীকে মেরেছেন। আমরা আমাদের ঘর সামলাচ্ছি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি মানুষের ম্যান্ডেট মানতে পারছে না। যেখানে বিজেপি জিতেছে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা বেশি ঘটছে। আমরা এই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করেছি। আসলে এই জায়গাগুলোতে নির্বাচনের সময় সবকিছু কমিশন বদলে দিয়েছিল।এই জায়গাগুলো আমাদের নজরে আছে।”
তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বুঝিয়ে দেন, যে কোনও মূল্যে তিনি রাজ্যের নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ থামাবেন। কেউ যদি গোলমাল করার চেষ্টা করেন তার বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসন কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। রাজ্যে নির্বাচনের আগে থেকে শুরু করে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পর্যন্ত যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে তাতে বিজেপি-র স্পষ্ট মদত আছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জানান।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.