স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: একুশে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রি’ এনে দেওয়ার পরই আইপ্যাক ছেড়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়, প্রশান্ত কিশোর এবার সরাসরি রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন। তারপর থেকেই গুঞ্জন, পুরস্কারস্বরূপ প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভায় (Rajya sabha) পাঠাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক৷
আরও পড়ুন: আগ্রহ দেখাল চার কাউন্টি ক্লাব, অবশিষ্ট আইপিএল ইংল্যান্ডে হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বেশ কিছুটা ধাক্কা খাওয়ার পরেই প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা হিসেবে দলে আনে তৃণমূল কংগ্রেস। তার হাত ধরেই আশাতীত জয় পেয়েছে তৃণমূল৷ শোনা যাচ্ছিল, এবার প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভার সদস্য করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় তাঁর আসনটি শূন্য। পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর আসনটিও শূন্য হওয়ার সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় তাঁর আসনেও নতুন কাউকে পাঠাতে হবে তৃণমূলকে।
আরও পড়ুন: আইপিএল ধারাভাষ্যে উপার্জিত অর্থ করোনা-খাতে দান করলেন লক্ষ্মী
কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার আইপ্যাকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যে। আর এটা কল্পনাপ্রসূত। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আর প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সমস্ত হাসপাতালকে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানোর অনুমতি রাজ্যের
অন্যদিকে, আর একটি শূন্য পদে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহারও নাম উঠে আসছে। এ বারের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়ে কলকাতায় থেকে লাগাতার তৃণমূলের মুখপাত্রের কাজই করেছেন তিনি। বলে রাখা প্রয়োজন, রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর আসনটিতে নতুন কাউকে পাঠাতে হবে তৃণমূলকে। আর সেখানে বাজপেয়ী জামানার এই কেন্দ্রীয় নেতাকে চাইছে তৃণমূল। এছাড়া, বিজেপির সঙ্গে বিরোধের কারণে যশবন্তও এখন কট্টর মোদী-বিরোধী। এবার তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে তৃণমূল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.