সিট গঠন করল সিআইডি
শীতলকুচির ঘটনায় ইতিমধ্যে সিট গঠন করেছে সিআইডি। ডিআইজি সিআইডি-র নেতৃত্বে চার সদস্যের সিট গঠন করেছে সিআইডি। আর এই স্পেশাল টিম অর্থাৎ সিট শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত করবে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, সিট আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত শুরু করে। আর তদন্তের শুরুতেই মাথাভাঙা থানার তদন্তকারী অফিসার মলয় বোসকে তলব করেছে সিআইডি নেতৃত্বাধীন সিট। শুধু তাই নয়,ওই থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারকেও আগামী সপ্তাহে তলব করা হবে বলে সিআইডি সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, কেনই বা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে হল সমস্ত বিষয়ে তদন্তকারীরা অফিসারের কাছ থেকে সিট জানার চেষ্টা করবে বলে জানা যাচ্ছে।
দুটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত করবে সিআইডি
ঘটনার পরেই মাথাভাঙা থানায় দুটি মামলা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বুথের বাইরে জড়ো হওয়ার কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী। এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়। পালটা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও গ্রামবাসীরা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে বাহিনীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আপাতত দুটি মামলাকেই যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে সিআইডি। জানা যাচ্ছে, প্রয়োজনে সেই সময় বাহিনীর কর্তব্যরত জওয়ানদেরও তলব করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
সাসপেন্ড করা হয়েছে পুলিশ সুপারকে
রাজ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে সময়ে সময়ে পুলিশ এবং প্রশাসনে বড় রদবদল করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে পুরনোদেরই দায়িত্বে ফিরিয়ে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে।বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন কান্নান। কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন বিরোধীদের অভিযোগের জেরে তাঁকে সরিয়ে দেবাশিস ধরকে দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও দেবাশিস ধরকে দায়িত্ব দেওয়ার পরে তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
১০ এপ্রিলের শীতলকুচি কাণ্ড
চতুর্থদফায় ১০ এপ্রিল ভোট ছিল শীতলকুচিতে। সেখানকার জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে সকালে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় সমিউল মিঞা, মনিরুল মিঞা, হামিদুল মিঞা এবং নূর ইসলাম মিঞা নামে চারজনের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর রিপোর্টে বলেছিলেন, প্রায় ৩০০ জন বাহিনীকে ঘিরে ফেলেছিল। জওয়ানদের অস্ত্র ধরে টানাটানি করেছিল। শূন্যে গুলি চালিয়েও কিছু হয়নি। তারপরেই গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা নিয়ে ভোটের প্রচারে বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, যে ঘটনা ঘটেছিল তা দিদির ছাপ্পা ভোটের মাস্টার প্ল্যানের অংশ।
অমিত শাহের ষড়যন্ত্র, দেখে নেব বলেছিলেন মমতা
ওই ঘটনার পরেই বিষয়টিকে অমিত শাহের ষড়যন্ত্র বলে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুলিতে মৃতদের পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, এসপির সঙ্গে বসে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। আর বলেছিলেন ভোটের পরে দেখে নেবেন, তদন্ত করাবেন আর আসল ঘটনা বের করবেন। কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। শুধু তাই অয়, এই ঘটনার পরেই সিআইডি তদন্ত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলে মমতা। দায়িত্বে ফিরেই সিআইডি তদন্ত শুরু হল।