রাজ্যসভার শূন্য আসন নিয়ে চর্চা
রাজ্যসভার শূন্য পদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভোটের আগে দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় তাঁর আসনটি শূন্য। এই অবস্থায় প্রশান্তের নামই সর্বাধিক আলোচিত। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরে ভোট-কুশলীর কাজ আর করবেন না বলে ঘোষণা করেছেন প্রশান্ত। তবে কি করবেন তিনি? তা নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর এরই মধ্যে রাজ্যসভার খালি আসন নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিল শাসকদল তৃণমূল। আর সেখানেই প্রশান্ত কিশোরের নাম উঠে আসছে। প্রশান্ত সুবক্তা। বিজেপির পালস ভালো বোঝে। আর তাই দীনেশের পদে প্রশান্তকেই চাইছে তৃণমূলের একাংশ।
নাম আসছে যশবন্ত সিনহারও
একটি পদ শূন্য অন্য আরও একটি পদ শূন্য হওয়ার সম্ভাবনা। আর সেই পদের জন্যেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার নাম উঠে আসছে। বলে রাখা প্রয়োজন, রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর আসনটিও শূন্য হওয়ার সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় তাঁর আসনেও নতুন কাউকে পাঠাতে হবে তৃণমূলকে। আর সেখানে বাজপেয়ী জামানার এই কেন্দ্রীয় নেতাকে চাইছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, এই নেতার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক অনেক পুরনো। আবার বিজেপির সঙ্গে বিরোধের কারণে যশবন্তও এখন কট্টর মোদী-বিরোধী। গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই মমতা-যশবন্ত সম্পর্ক ভাল। দু'বছর আগে ব্রিগেডে মমতার সভাতেও ছিলেন তিনি। এ বারের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়ে কলকাতায় থেকে লাগাতার তৃণমূলের মুখপাত্রের কাজই করেছেন তিনি। কিন্তু এবার তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে তৃণমূল।
শুধু জল্পনা বলে দাবি তৃণমূলের একাংশ
তৃণমূলের হয়ে রাজ্য সভায় প্রশান্ত কিশোর! খবর ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলের একাংশ বলছে, খবরটি শুধুমাত্র জল্পনামাত্র। প্রশান্ত কিশোর রাজ্যসভায় তৃণমূলের হয়ে যাচ্ছেন এমন কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি বলেই দাবি তৃণমূলের একাংশের। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের টিমও এই বিষয়ে একমত। আইপ্যাকের একাংশের সূত্রের খবর, এমন কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি এখনও।