ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বাংলায়। একের পর এক জায়গাতে বিরোধীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। তবে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হতে হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।
ইতিমধ্যে বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
তবে এভাবে প্রতিনিধি দল পাঠানোর ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ভোট সন্ত্রাসে নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রঙ না দেখে সবাইকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা মমতার।
সেই মতো বিজেপি কর্মীর পরিবারকেও অর্থ সাহায্য করা হবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাক করে অর্থ সাহায্য করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই সাহায্য সামান্যই।
তবে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ করা হবে না। রাজনৈতিক রং বাড়তি গুরুত্ব পাবে না। মৃত ব্যক্তি বিজেপির কর্মী হোন বা সংযুক্ত মোর্চার কিংবা তৃণমূলের- প্রত্যেকের পরিবার এই সরকারি অর্থ সাহায্য পাবেন।
বৃহস্পতিবার নবান্নে ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ফের একবার রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেন।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ''গত কয়েকদিনে হিংসার ঘটনা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। গত ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি ছিল। তারপর থেকে এই ঘটনাগুলি ঘটেছে।''
ভোট পরবর্তী হিংসায় শীতলখুচি, মাথাভাঙা, কেতুগ্রামে গত কয়েকদিনে তৃণমূল কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মমতা বলেন, ''মোট ১৬ জন মারা গিয়েছে বলে খবর আছে আমার কাছে। এর মধ্যে কিছু বিজেপি, কিছু তৃণমূল এবং একজন সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। এঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।''
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলায় হাজির কেন্দ্রীয় দল। তা নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ''রাজ্যে যখন অক্সিজেন ছিল না, তখন তো ওঁরা আসেননি।
উত্তরপ্রদেশে হাথরসে যখন অত বড় ঘটনা ঘটে গেল, তখনই বা কী করছিলেন এঁরা? আর বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার খোঁজ নিতে এর মধ্যেই চলে এলেন! এ ব্যাপারে এক রকম বিস্ময় প্রকাশ করেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ''আগে কখনও এ রকম দেখিনি।''
মমতার কথায়, ''আসলে বিজেপি এখনও জনতার রায় মেনে নিতে পারছে না। ওঁদেরকে আমার অনুরোধ, আপনারা সংযত হন। মানুষের রায় মেনে নিন।''