একনজরে অজিত সিংয়ের রাজনৈতিক জীবন
বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হন অজিত সিং। সকাল ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ তাঁর জীবনাবসান ঘটে বলে জানা যায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের পুত্র অজিত সিং বাঘপত থেকে সাত বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। এমনকী ২০০১ সালে আরএলডি গঠন করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারে কৃষিমন্ত্রীও হন তিনি।
দীর্ঘ ১৫ বছর আমেরিকার তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ
অন্যদিকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এনডিএ জোটের সঙ্গে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ফের ইউপিএতে আসেন অজিত সিং। জাঠ অধ্যুষিত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের অবিসংবাদী নেতা হিসাবেও রীতিমতো পরিচিতি ছিল তাঁর। এই এলাকার বাঘপত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদও ছিলেন তিনি।
বারবার দল বদলের কারণে ওঠে সমালোচনার ঝড়
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভিপি সিংয়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন অজিত সিং। আবার পি ভি নরশিমা রাওয়ের মন্ত্রিসভায় খাদ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। তবে ঘনঘন দলবদল ও জোটসঙ্গী বদল নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এমনকী সমালোচকরা তাঁকে মরশুমি বন্ধু ও সুবিধাবাদীও আখ্যা দিয়েছিল।এদিকে অজিত সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী-সহ অনেকে।
ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিতি ছিল অজিং সিংয়ের
এদিকে রাজনীতির পাশাপাশি ছোট থেকেই পড়াশোনাতেও মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিতি ছিল তাঁর। আইআইটি খড়গপুর থেকে বি.টেক (কম্পিউটার সায়েন্স) এবং ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে এম.এস. করেন তিনি। পরবর্তীতে দীর্ঘ ১৫ বছর আমেরিকায় তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকরিও করেছেন তিনি। এমনকী ষাটের দশকে প্রথম ভারতীয় কম্পিউটার বিশারদ হিসাবে আইবিএমের সাথে কাজ শুরু করেন তিনি।