স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা:  দলের ‘হেরে ভূত’ তারকা পায়েল, শ্রাবন্তী, তনুশ্রীদের নাম নিয়ে ‘নগরীর নটী’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। এই আক্রমণের কড়া জবাব দিলেন শ্যামপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী৷

তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘সুষমাজি, স্মৃতিজিও তো এই দলেই ছিলেন বা আছেন। তাঁরা অনেক কাজ করেছেন। তাঁদেরকেও কি এ ভাবেই কটাক্ষ শুনতে হয়েছে?’ অথচ তাঁদের এই ধরনের কথা শুনতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, এমন উক্তির মধ্যে দিয়ে বিজেপির প্রবীণ নেতা দেশের সমস্ত নারীকে অপমান করলেন। অথচ, দল কিন্তু নারীশক্তিকে আলাদা সম্মান দেয়।

আরও পড়ুন: রামোস-হ্যাজার্ডকে প্রথম একাদশে রাখা নিয়ে দোটানায় জিজৌ

ইতিমধ্যেই তথাগত রায়কে পাল্টা জবাব দিয়েছেন শ্রাবন্তী৷ তাঁর পালটা প্রশ্ন, ‘আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে, আমরা ভোটের টাকায় বেড়িয়েছি বা কেলি করেছি! যদি থাকে, তা হলে প্রমাণ দিয়ে তবেই কথা বলুন।’ শ্রাবন্তী জানিয়েছেন, ‘উনি দীর্ঘদিন বিজেপির সঙ্গে আছেন। ওঁর কথা শুনেছি। তবে আমার মনে হয়, এই ধরনের মন্তব্য করার আগে ওঁর বিষয়টি জেনে নেওয়া উচিত ছিল’।

প্রসঙ্গত, দোলের দিন গঙ্গাবক্ষে লঞ্চে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের সঙ্গে আনন্দে মাততে দেখা গিয়েছিল বিজেপির তিন তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রী চক্রবর্তীদের। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় তখনও পায়েল-শ্রাবন্তীদের তুলোধনা করেছিলেন তথাগত। একুশের ভোটে দল মুখ থুবড়ে পড়তেই  দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন তথাগত রায়৷ মঙ্গলবার তথাগত টুইট করে বলেন, ‘পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?’

এর আগেও টুইটে তথাগত লিখেছিলেন, ‘নগরীর নটী চলে অভিসারে যৌবনমত্তা’! এই নটীদের এখনও এই বোধ হয়নি যে রাজনীতিটা অভিসার নয়৷‘ কিন্তু সেইসময় এই মন্তব্যের জবাব দেননি শ্রাবন্তী, তনুশ্রী কেউই৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.