কলকাতা: এএফসি কাপে অংশগ্রহণ করা নিয়ে চরম সমস্যায় এটিকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এপ্রিল মাসের শেষদিকে কলকাতায় দলের প্রস্তুতি শিবির বাতিল হয়েছিল আগেই। এবার মালদ্বীপে পূর্ণ শক্তির দল পাঠানোই চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে সবুজ-মেরুনের জন্য। এএফসি কাপে দল না পাঠালে নির্বাসনের মুখে পড়তে হবে। তাই অগত্যা ভারতীয় স্কোয়াডই ভরসা আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের। বড়জোড় তিরিকে পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কোচ হাবাস এবং সাপোর্ট স্টাফেদের সঙ্গে সরাসরি মালদ্বীপেই মিলিত হবেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে কোভিড সংক্রমণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বীপরাষ্ট্র ফিজির বড় বড় শহরগুলিতে লকডাউন চলছে। ফলত রয় কৃষ্ণার আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সীমান্ত পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় অজি স্ট্রাইকার ডেভিড উইলিয়ামস কিংবা আইরিশ ডিফেন্সিভ মিডিও কার্ল ম্যাকহিউ’কেও পাওয়ার আশা করছে না বাগান ম্যানেজমেন্ট। এমতাবস্থায় বিদেশি ভরসা বলতে কেবল তিরি। কোচিং স্টাফেদের সঙ্গে তাঁকে মালদ্বীপে নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু করেছেন কর্তারা।
অবস্থা বেগতিক দেখে ফেডারেশন মারফৎ এএফসি’র কাছে আবেদনও করা হয়েছিল ম্যানেজমেন্টের কাছে। কিন্তু বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, কিংবা দেশেরই অন্য এক ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসি পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই মালদ্বীপ যাচ্ছে। যদিও সুনীলদের মূলপর্বে খেলার বিষয়টি নিশ্চিত নয় এখনও। মালদ্বীপেরই ক্লাব ঈগলসের বিরুদ্ধে যোগ্যতাঅর্জন পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলে মূলপর্ব নিশ্চিত করতে হবে তাদের। আর মূলপর্ব নিশ্চিত হলে বাগানের সঙ্গে একই গ্রুপ শেয়ার করবে ব্লুজ’রা। কিন্তু কোনও দলই দল গড়তে সমস্যার কারণে কোনও আবেদন এশিয়ান ফুটবলের গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে করেনি।
স্বাভাবিকভাবেই কেবল এটিকে মোহনবাগানের আবেদনে কর্ণপাত করতে রাজি নয় এএফসি। এমনকি কোনওভাবে টুর্নামেন্টে না অংশ নিতে পারলে ঝুলছে নির্বাসনের খাঁড়া। তাই নিতান্ত বাধ্য হয়েই ভাঙাচোরা দলকেই মালদ্বীপ পাঠাচ্ছে বাগান ম্যানেজমেন্ট। মরশুমের শুরুতেই এএফসি কাপে ভালো ফল করতে প্রত্যয়ী ছিলেন দলের কোচ হাবাস। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটা কতোটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান সকলেই। কলকাতায় প্রস্তুতি সারতে না পারায় প্রাথমিকভাবে ফেডারেশন মারফৎ এএফসি’তে বাগানের অনুরোধ পৌঁছেছিল ওদেশে যাতে আগে পৌঁছনো যায়।
কিন্তু সেই অনুরোধও খারিজ হয়। ১০ মে’র আগে সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না মূলপর্বে অংশ করতে চলা কোনও দল। এদিকে সূচিতেও কোনও বদল এখনও অবধি আসেনি। ১৪ মে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাগান। সবমিলিয়ে একরাশ সমস্যা নিয়েই মালদ্বীপ উড়ে যাওয়ার প্রস্তুতু নিচ্ছেন অরিন্দম, প্রণয়রা। প্রস্তুতি ছাড়া দলের ফুটবলাররা ফিজিক্যাল ট্রেনারের নির্দেশমতো কিছু শারীরীক কসরতের মধ্যে দিয়ে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.