অধীর-মিথ ভেঙে খান খান, নবাব-গড়ে ১৬টির মধ্যে ১৪টিতেই কংগ্রেস নামল তিন নম্বরে

তৃণমূলী জমানায় কংগ্রেস রাজ্যে মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই দুই জেলাতেও এবার শূন্য হয়ে গেল কংগ্রেস। অধীরের গড়েও কংগ্রেস একেবারে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে। কংগ্রেসের এই শোচনীয় ফলাফলে বিস্মিত মুর্শিদাবাদের 'রবীনহুড'ও। তিনি সাফাই দিয়েছেন ভোট মেরুকরণেই এই ফল।

বিজেপি কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে

মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ২২টি কেন্দ্র। এবার বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ সংযুক্ত মোর্চা গড়ে লড়াইয়ে সামিল হয়েছিল। তাই কংগ্রেস অধীরের জেলায় ১৬টি আসনে প্রার্থী দেয়। একটি আসনেও তাঁরা জয়লাভ করতে পারেনি। অবাক-কাণ্ড, এই ১৬টির মধ্যে ১৪টি আসন বিজেপি কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

অধীরের গড়ে তৃণমূল-বিজেপির দাপট, কে কটি

কংগ্রেস মাত্র দুটি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বাকি ১৪টি আসনেই তাঁরা তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ১৮টিতে, আর বিজেপি জয়লাভ করেছে ২টিতে। দুটিতে ভোট স্থগিত রয়েছে। মুর্শিদাবাদের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় বিজেপির এই প্রভাববৃদ্ধি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূল আর বিজেপি ছাড়া অন্য কেউই এই জেলায় প্রভাব খাতা খুলতে পারেনি।

কংগ্রেসের জমি কেড়ে নিল তৃণমূল, ফুটল পদ্মও

এতদিন মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের সংখ্যালঘু ভোট পেত কংগ্রেস। বাকি জেলার সংখ্যালঘু ভোট যেত তৃণমূলের দখলে। এবারই প্রথম মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে সংখ্যালঘু ভোটে সমৃদ্ধ হল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে কংগ্রেসের জমি কেড়ে নিল তৃণমূল। বিজেপি হিন্দু ভোটকে তাদের দিকে টেনে কংগ্রেসকে পাঠিয়ে দিল তিন নম্বর।

আমরা শূন্য হয়ে গিয়েছি, কিন্তু শেষ হয়ে যাইনি

অধীর চৌধুরী এই হারের পরও মানুষকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ক্ষমতায় বসতে দেননি, এ জন্য ধন্যবাদ। তাঁর কথায়, আমরা শূন্য হয়ে গিয়েছি, কিন্তু শেষ হয়ে যাইনি। আবার আমরা প্রমাণ দেব আমাদের অস্তিত্বের। আমাদের ভুলভ্রান্ত শুধরোতে আমরা আবার মানুষের কাছে যাবো।

কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সুসম্পর্কের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে! মোদীর পালটা টুইটে জানালেন মমতা

কেন এমল হল, ময়নাতদন্তে নেমেছে কংগ্রেস

কংগ্রেস নানা কাটাছেঁড়া শুরু করেছে, কেন এমন ফল হল অধীর-গড়ে। এতদিন অধীর চৌধুরী তাঁর জেলায় ধরে রেখেছিলেন কংগ্রেসকে। কিন্তু এবার জোট করেও ব্যর্থ হলেন। আইএসএফের সঙ্গে জোট করেই কি খারাপ ফল হল, নাকি ভোট মেরুকরণই দায়ী? আবার কিছু আসনে আইএসএফ প্রার্থী গোঁজ দিয়েছিল, তাই ভোট কাটাকাটিতেই এমন ফল নয় তো! ময়নাতদন্ত চলছে।