বিজেপির ধরনা
বিধানসভা নির্বাচনের পল ঘোষণার পর থেকে বিজেপি কর্মীদের ওপরে হামলার অভিযোগ করে দলের রাজ্যদফতর মুরলিধর সেন লেনে ধরনায় রাজ্য বিজেপির নেতারা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ধরনা মঞ্চে উপস্থিত শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসুর মতো নেতারা। অন্যদিকে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জগদ্দলে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান। সেখানে তিনি বলেন. ভোটের পরে পশ্চিমবঙ্গে এই চিত্র উদ্বেগজনক।
রাজ্যপালের টুইট
এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি লিখেছেন, এটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তা উপেক্ষা করা যায় না। কার্যত তিনি কটাক্ষ করে লিখেছেন, এতে উৎসাহ দেওয়াটাও কাম্য নয়।
দিব্যেন্দু অধিকারীর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদতপুষ্ট সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হামলা-লুট চালাচ্ছে, সম্পত্তির ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে তিনি নিজের কেন্দ্র তমলুকের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তাঁর কেন্দ্র তমলুকের মধ্যেই পড়ে দাদা শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম। সেই জায়গায় তৃণমূলের প্রভাবিত এলাকায় বিজেপির কর্মীদের ওপরে ব্যাপক হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশ এবং প্রশাসনের সামনেই তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। চিঠিতে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। চিঠি তিনি হিংলা বন্ধ করতে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।
চিঠির কপি রাজ্যপাল ও মুখ্যসচিবকেও
দিব্যেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিক কপি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যসচিবের কাছেও। যদিও এই চিঠির ব্যাপারে রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ভুয়ো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করছে বিজেপি।