মুম্বই: তাঁর দল এবার শুরুটা করেছিল চমৎকার। ইতিহাসে প্রথমবার টানা চার ম্যাচ জয় দিয়ে আইপিএল শুরু করা আরসিবি’কে বেশ অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছিল। কাইল জেমিসন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের অন্তর্ভুক্তিতে বিরাটের দলকে বেশ সংঘবদ্ধ মনে হচ্ছিল। প্রথম পর্বের শেষে অর্থাৎ, সাত ম্যাচে পাঁচটি জয় নিয়ে লিগ টেবিলে তৃতীয়স্থানে থাকা অবস্থাতেই আইপিএলে ব্যাপকভাবে হানা দেয় কোভিড। ফলস্বরূপ মঙ্গলবার টুর্নামেন্টে স্থগিতাদেশ নেমে আসে। স্বাভাবিকভাবেই মরশুমের শুরুটা দারুণ করা আরসিবি’র সমর্থকেরা একটু হতাশ।

অনেকে বলছেন অধরা মাধুরি এবছরে বিরাটের হাতে ধরা দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। সে যাইহোক, অধরা মাধুরির স্বাদ অপূর্ণ রেখেই বুধবার ঘরে ফিরলেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্ল্যাক আউটফিটে কোভিডের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক, এবং গগলস চোখে মুম্বইয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে দেখা মিলল তাঁর। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল।

মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ নেমে আসার আগে সোমবার নাইট শিবিরে করোনা হানা দেওয়ায় আরসিবি’র বিরুদ্ধে নাইটদের ম্যাচ সর্বপ্রথম স্থগিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, প্রথম চারটি ম্যাচ চেন্নাই’য়ে খেলার পর পরের দু’টি ম্যাচ মুম্বই’য়ে খেলেছিল কোহলির দল। এরপর আমদাবাদে সপ্তম ম্যাচটি খেলে আরসিবি। সোমবার নাইটদের বিরুদ্ধেও মোতেরাতেই মাঠে নামার কথা ছিল বিরাটদের। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শিবিরে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর না মিললেও নাইট রাইডার্স, সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স শিবির করোনার কোপে পড়ে। আর সে কারণেই তড়িঘড়ি খাঁড়া নেমে আসে আইপিএলের উপর।

যদিও সেপ্টেম্বর উইন্ডোয় বাকি অংশ সম্পূর্ণ করার পথ খোলা রেখেছে বোর্ড তবে আপাতত ঘরে ফেরার পালা ক্রিকেটারদের। মঙ্গলবার সেই নিয়ম মেনে আইপিএলের বৃত্ত ছেড়ে মুম্বই’য়ের অ্যাপার্টমেন্টে স্ত্রী, কন্যাসন্তানের কাছে ফিরলেন বিরাট। তবে ঘরে ফিরে বিরাট এবার কোভিডের লড়াইয়ে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গী হবেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে অভিনেত্রী-প্রযোজক ঘোষণা করেছেন সে কথা। অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ত্রস্ত ভারতকে তারা কীভাবে সেবা করবেন, সে ঘোষণা যদিও করেননি অনুষ্কা। খুব শীঘ্রই সে বিষয়ে সস্ত্রীক বিরাট ঘোষণা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশজুড়ে করোনার জেরে মৃত্যুসংখ্যা ২ লক্ষ ২২ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। বর্তমানে প্রাত্যহিক ৩ লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন মারণ ভাইরাসে। দেশজুড়ে কার্যত ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। এমতাবস্থায় ‘বিরুষ্কা’ কীভাবে কোভিডের লড়াইয়ে অংশ নেন, সেটাই দেখার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.