কলকাতাঃ করোনা মহামারী তার মারণ কামড় বসিয়েছে গোটা দেশে। এক নিমেষে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে দেশ। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। করোনার সংক্রমণ এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে যার ফলে বন্ধ হয়েছে বলিউডের শুটিং। এবার করোনা আতঙ্কের জেরে বন্ধ হল শ্রীলেখা মিত্র এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার অভিনীত ‘নির্ভয়া’ ছবির শুটিং।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাতের অবস্থা সব থেকে বেশি নাজেহাল এই মুহুর্তে। গত মাসেই মহারাষ্ট্র সরকার করোনা সংক্রমণ আটকাতে বলিউড ইন্ডাস্টির সমস্ত সিরিয়াল, সিনেমার শুটিং বন্ধের ঘোষণা করেছিলেন। এবার করোনার দাপটে পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষ তার পরবর্তী ছবি ‘নির্ভয়া’র শুটিং বন্ধ রাখতে বাধ্য হল। এপ্রিলের শেষেই শুরু হয়েছিল ছবির শুটিং। কিছুদিনের মধেই কলকাতার করোনা পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক হয়ে উঠল পরিচালক বন্ধ করে দিলেন শুটিং।
ছবির গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষ তেমন কিছু জানাননি। তবে ছবির নাম যখন রেখেছেন ‘নির্ভয়া’ তাহলে একটু তো ধারণা করাই যাচ্ছে গল্প সম্বন্ধে। ২০১২ সালে দিল্লির সেই নির্মম ধর্ষণ কাণ্ডের কথা আমরা কেউই ভুলিনি। সারা দেশ ওই ধর্ষিতা মেয়েটির নাম দিয়েছিল নির্ভয়া। নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ড গোটা বিশ্বে সারা ফেলে দিয়েছিল। আর পরিচালক অংশুমানের এই ছবির নাম শুনেই আন্দাজ করা যাচ্ছে গল্পের মূল বিষয় বস্তু ধর্ষণ। এবিষয় পরিচালক বিশেষ কিছু না বললেও কেবল বলেছেন, ‘ধর্ষণের মত একটি সাংঘাতিক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ওই মেয়েটির পরিবারে এবং সমাজে কী কী পরিবর্তন আসে সেই নিয়েই আমার এই ছবি। ধর্ষণ নিয়ে তো অনেকে অনেক কথা বলেন। ছবিও করেন। কিন্তু তার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়না। আমার ছবি ‘নির্ভয়া’ সেই দৃষ্টিভঙ্গিই তুলে ধরবে’। এই ছবিতে অভিনয় করছেন শ্রীলেখা মিত্র, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সব্যসাচী চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তী এবং ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ সিরিয়াল খ্যাত হিয়া।
পরিচালক অংশুমানের এটি প্রথম অন্য ধারার কাজ। তিনি মূলত কমার্শিয়াল বা মেনস্ট্রিমের ছবিই তৈরি করেন। এর আগে তিনি মিমি, নুসরত, যশকে নিয়ে বানিয়েছিলেন ‘এস ও এস কলকাতা’ (SOS Kolkata)। তার আরও একটি ছবি জিৎ এবং মিমি অভিনীত ‘বাজি’ এখন রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। এই মুহুর্তে ‘নির্ভয়া’র শুটিং প্রসঙ্গে পরিচালক জানিয়েছে, আপাতত ছবির শুটিং বন্ধ থাক। পরিস্থিত কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিয়মবিধি মেনে পুনরায় শুটিং শুরু করা হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.