চেন্নাই: শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে মারাঠাদের সংরক্ষণ নিয়ে দাবি নস্যাৎ করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল যে মারাঠাদের সংরক্ষণ নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকার যে আইন জারি করেছে তা সমান অধিকারের নীতিকে লঙ্ঘন করে।
মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণের নীতি প্রণয়ন করা হয়। মারাঠাদের শিক্ষার দিক থেকে ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায় হিসেবে ঘোষণা করার জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করে। তবে আদালত এও জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের জারি করা এই নিয়মের আওতায় যারা সংরক্ষণ কোটায় স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছে তার কেরিয়ারে কোনও প্রভাব পড়বে না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্র সরকার যে আইন পাশ করেছে তা সমান অধিকারের নীতি লঙ্ঘন করে। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের একটি রায় দিয়েছিল। তা ছিল অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য। সেই রায়ের পুনর্বিচারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আদালতের তরফে এও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মারাঠারা কীভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় হল?
এই মামলা ইতিমধ্যেই বম্বে হাইকোর্টে উঠেছিল। মহারাষ্ট্র সরকারের এই সংরক্ষণ নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক সংগঠন বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু বম্বে হাইকোর্টে মারাঠা সরকারের পাশেই দাঁড়ায়। এরপর আবেদনকারীরা মামলা সুপ্রিম কোর্টে টেনে নিয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তাঁরা হলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি এস আবদুল নাজির, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট। এই পাঁচ বিচারকের সংবিধান বেঞ্চ বুধবার চ্যালেঞ্জকারী আবেদনের বিষয়ে রায় দান করে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে মারাঠা সম্প্রদায়কে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা সঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্রের SEBC আইনকে বাতিল করেছে। এই আইনের ফলেই সংরক্ষণ পেত মারাঠারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.