প্রার্থী বিভ্রাটেই হারতে হল তৃণমূলকে? কাটাছেঁড়া
ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডা. রেজাউল করিমের হার নিয়ে ময়নাতদন্তে নেমেছে তৃণমূল। তদন্তে নেমে তৃণমূলের হাতে এসেছে চমকে ওঠার মতো তথ্য। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এখানে ২৬ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তবে কি প্রার্থী বিভ্রাটেই হারতে হল তাঁকে, তা নিয়েই চলছে কাটাছেঁড়া।
অন্তর্ঘাতের ফলে এই কেন্দ্র হাতছাড়া তৃণমূলের
তৃণমূলের ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে তৃণমূলের তিনজন প্রভাবশালী নেতার অন্তর্ঘাতের ফলে এই কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ ও শওকত মোল্লার অন্তর্ঘাতের ফলেই এই কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল। এই অঞ্চলে প্রায় ৭৬ শতাংশ মুসলিম ভোটের কিয়দংশ তৃণমূলের বাক্সে ঢুকেছে।
প্রার্থীর হয়ে প্রচারের আগে গোঁসা আরাবুলের
রাজ্যের প্রায় সমস্ত কেন্দ্রে যখন সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের ঘরে গিয়েছে, তখন এই কেন্দ্রে কেন উলট-পুরান হল। তা মূল্যায়ন করতে গিয়েই উঠে এসেছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই বেসুরো গাইতে শুরু করেছিলেন আরাবুল ইসলাম। তিনি নিজে চেয়েছিলেন এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে। এরপর গোঁসা ভুলে তিনি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামলেও তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গণনাকেন্দ্র ত্যাগ তৃণমূল কংগ্রেস এজেন্টের
আইএসএফ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে তিন নেতার বিরুদ্ধে। আরাবুলের ছেলে হাকিমুলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। তৃণমূল প্রার্থী ১১ তম রাউন্ডে ১০ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকাকালীন গণনাকেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।