লন্ডন: বিবর্ণ রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছল চেলসি৷ বুধবার রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-০ হারিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ‘দ্য ব্লুজ’৷ ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-র সামনে চেলসি৷ অর্থাৎ এবার অল-ইংল্যান্ড ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল৷

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বুধবার ইতিহাস গড়ল চেলসি এবং তাদের ম্যানেজার টমাস টুখেল৷ প্রথম ম্যানেজার হিসেবে দু’টি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে টানা দ্বিতীয়বার দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুললেন তিনি৷ গত মরশুমে এই জার্মান ম্যানেজারের কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলেছিল পিএসজি৷ ফাইনালে ফরাসি দলটি অবশ্য হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখের কাছে৷ এবার চেলসির কোচের দায়িত্ব নিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে তুললেন টুখেল৷

একই সঙ্গে ইতিহাস গড় চেলসি৷ এ নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল তারা৷ তিনবারই টুর্নামেন্টের মাঝপথে কোচ পরিবর্তন করে সাফল্য পেল ‘দ্য ব্লুজ’৷ প্রথমবার ২০০৭-০৮ মরশুমে হোসে মোরিনহোকে টুর্নামেন্টের মাঝপথে আভ্রাম গ্রান্টকে কোচ করে ফাইনাল উঠেছিল চেলসি৷ তবে সেবার ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরেছিল তারা৷

২০১১-১২ মরশুমে চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল টুর্নামেন্টের মাঝপথে কোচ পরিবর্তন করে৷ আন্দ্রে ভিলাসকে সরিয়ে রবের্তো ডি মাত্তেওকে কোচ করে সাফল্য পেয়েছিল ইংল্যান্ডের এই ক্লাবটি৷ ফাইনালে বয়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেলসি৷ আর এবারও টুর্নামেন্টের মাঝপথে ফ্রাঙ্ক ল্যামপার্ডকে সরিয়ে টুখেলকে কোচের দায়িত্ব দেয় চেলিস৷ অর্থাৎ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি৷

সেমিফাইনালের প্রথম সাক্ষাতে রিয়ালের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল চেলসি৷ এদিন জিনেদিন জিদানের দলকে ২-০ হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট জোগাড় করল ইংল্যান্ড ক্লাবটি৷ টিমো ভেরনারের গোলে চেলসি এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ান ম্যাসন মাউন্ট। পুরো ম্যাচে আধিপত্য ছিল চেলসির৷

অন্যদিকে রিয়াল ছিল ছন্নছাড়া। রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ কোনও জায়গাতেই প্রত্যাশিত ফুটবল খেলতে পারেনি টুর্নামেন্টের রেকর্ড সংখ্যক ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ২০১৮ সালের পর আর ফাইনাল খেলতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ আর। এর আগে ১৬ বার ফাইনালে উঠে ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর ২০১১-১২ মরশুমে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হওয়ার পর এই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল চেলসি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.