মুকুল বনাম শুভেন্দুর লড়াই বিজেপির অন্দরে! একুশের নির্বাচন শেষে কে পাবেন ‘কুর্সি’

একুশে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে মুকুলের রায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির ক্ষমতা লাভের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে তিন থেকে বেড়ে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। এই উত্থানে ভর করেই এবার মিলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা। কিন্তু বিরোধী দলনেতা কে হবেন? সেই যুদ্ধে সামিল তৃণমূলেরই দুই প্রাক্তনী।

'শো-কজে'র কবলে তন্ময় ভট্টাচার্য, মানতে নারাজ প্রাক্তন বিধায়ক

লড়াই মুকুল ও শুভেন্দুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ

বিজেপিতে গিয়েও মুকুল বনাম শুভেন্দু লড়াই। হেভিওয়েটদের মধ্যে জিতেছেন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ফলে তাঁর বিরোধী দলনেতা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই লড়াই মুকুল ও শুভেন্দুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়েছে এবার।

মমতাকে হারিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু

নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মনে হয়েছিল এবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে যদি মমতা বসেন, তবে একদা তাঁর সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায় হবেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু মমতাকে শেষমেশ হারিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। মুকুলের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার লড়াইয়ে এবার শুভেন্দুও।

কে হবেন বিরোধী দলনেতা, সেই প্রশ্নে দুভাগ

বিজেপির সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হওয়ার পর এখন প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠাই গৌরবের মনে করছেন দিলীপ ঘোষরা। এই অবস্থায় কে হবেন বিরোধী দলনেতা, সেই প্রশ্নে দুভাগ বঙ্গ বিজেপি। একাংশ চাইছে মুকুল রায় হন বিরোধী দলনেতা, অন্য অংশ চাওইছে শুভেন্দুকে। দুই প্রাক্তন তৃণমূলীর অনুগামীরা ছাড়াও আদি বিজেপিও দু-ভাগ।

বিধায়ক হিসেবে প্রথম বিধানসভায় মুকুল

মুকুল রায় এবারই প্রথম বিধায়ক হয়েছেন। দীর্ঘদিন রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও বেশি। তাই বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি কার্যকরী ভূমিকরা নিতে পারবেন বলে মনে করছেন, তাঁর অনুগামীরা। আবার শুভেন্দুরও সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। তাই তাঁর অনুগামীরাও তাঁকে চাইছেন।

শুভেন্দুই বেশি মমতা বিরোধী ছিলেন, মুকুল ছিলেন গুটিয়ে

সংখ্যাগরিষ্ঠের মত শুভেন্দুর দিকেই। কেননা তাঁর মমতা বিরোধী মানসিকতা। একুশের ভোটে তিনিই বেশি মমতা বিরোধী ছিলেন। মুকুল রায় নিজেকে ততটা মেলে ধরেননি। নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। এই অবস্থায় শুভেন্দুকেই বিজেপি বিরোধী দলনেতার পোস্ট দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মুকুল না শুভেন্দু, সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি

বিজেপি হয়তো এদিনই বিরোধী দলনেতার নাম ঘোষণা করে দিতে পারে। বুধবার সন্ধ্যায়

এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে বিজেপি। বিজেপি অভিজ্ঞতাকে জোর দেয় না তারুণ্যকে তা বোঝা যাবে অচিরেই। তবে এটা নিশ্চিত যে দলবদলুদেরই পদাসীন করতে হচ্ছেস আদি নেতাদের জায়গা নেই। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে শপথ নেন। একত্রিত হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ নেন তাঁরা।