স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: রাজ্যে নয়া রেকর্ড করোনার৷ স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন ১৮ হাজার ১০২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের৷ রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৯,১৬, ৬৩৫।
বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের ১৮,১০২ জন। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৭৩ জনই কলকাতার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের প্রথম স্থানে কলকাতা (Kolkata)। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানেও তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এদিন। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯৮২ জন। তৃতীয় স্থানে হাওড়া। একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে এই জেলার ৯৯৪ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৩ জন।
এদিকে সুস্থতার হারও রেকর্ড গড়েছে৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ০৭৩ জন। এর ফলে এই মুহূর্তে বঙ্গে করোনাজয়ীদের শতকরা গিয়ে দাঁড়াল ৮৫. ৪১ শতাংশে।
আরও পড়ুন: শপথ নিয়েই রাজ্যে একাধিক কোভিড হাসপাতালের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
বুধবার রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা রুখতে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নবান্ন জানিয়েছে, আপাতত ১৪ দিন বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন৷ গণ পরিবহনের বাস ও মেট্রো সংখ্যাও অর্ধেক করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ হাজিরায় কাজ ও বেসরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। এছাড়া, সকাল ৭টা থেকে ১০ ও বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকার কথা জানানো হলেও আগের নির্দেশ মতোই রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বার, স্পা বন্ধই থাকছে। হোম ডেলিভারি, ওষুধ ও মুদিখানার দোকান অবশ্য লকডাউনের আওতার বাইরেই থাকছে।
এদিকে, দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণও বেড়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৫ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় ২৫ হাজার বেশি। দেশে মোট আক্রান্ত ইতিমধ্যেই ২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমেরিকার পর কেবল ভারতেই মোট আক্রান্ত ২ কোটির বেশি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.